মোবায়েদুর রহমান
ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিনেমার বিরুদ্ধে নেপাল ও বাংলাদেশে যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সেটি আজকের নয়। আমার কাছে যেসব পেপার ক্লিপিং রয়েছে সেগুলো থেকে দেখা যায় যে, ১৩ বছর আগে থেকেই এই ক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলে আসছে। নেপাল ও বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানেও এই ক্ষোভ ও প্রতিবাদ রয়েছে। তবে বিশেষ রাজনৈতিক কারণে আমরা আমাদের আলোচনায় পাকিস্তানের প্রসঙ্গ আনব না। আমরা প্রধানত নেপালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকব এবং প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশের কথা বলব। যেহেতু আলোচনাটি বহু দিনের পুরনো, তাই খুব কম কথায় এই আলোচনার সারমর্ম তৈরি করা যায়। সেটি হলো, বাংলাদেশে ভারতের কমপক্ষে ৪২টি টিভি চ্যানেল দেখানো হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তথা অবশিষ্ট ভারতে বাংলাদেশের প্রায় ৩০টি চ্যানেলের মধ্যে একটিও দেখা যায় না কেন? পাশাপাশি এখন অনেকে বলা শুরু করেছেন যে, নেপাল যদি একটি ছোট রাষ্ট্র হয়েও ভারতীয় টেলিভিশন বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বাংলাদেশ পারে না কেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা নেপালের ৫ গুণেরও বেশি। নেপালের চেয়ে বাংলাদেশের রয়েছে অনেক উন্নত ও আধুনিক সামরিক বাহিনী। সেই নেপাল যদি সম্প্রতি ভারতের ৪২ চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ পারে না কেন? বাহ্যিকভাবে দেখলে বিষয়টি এ রকম দাঁড়ায়। সেটি হলো, আমরা ধরেই নিয়েছি যে বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান চ্যানেলসমূহ মহাসমারোহে সম্প্রচারিত হবে। কিন্তু আমরা মাথা কুটে মরলেও আমাদের চ্যানেল সেখানে দেখা যাবে না।
আমি কিছুক্ষণ আগেই বলেছি যে, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে গেছে যে, এদেশে সব ইন্ডিয়ান চ্যানেল সম্প্রচারিত হবে। এর একটি কারণও রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে মহিলারা ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো দারুণ পছন্দ করেন। ওইসব চ্যানেলের এমন দু-চারটি সিরিয়াল রয়েছে যেগুলোর একটি এপিসোডও যদি তারা মিস করেন তাহলে তারা ভাবেন যে, কত বড় একটা জিনিস তারা হারিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনগণের ঘরে এখন ভারতীয় চ্যানেল বেশি দেখা হয়। ভারতের জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান, হ্যাপি প্যারেন্টস ডে, এসো মা লক্ষ্মী, কালার বাংলার তারানাথ তান্ত্রিক, স্টার জলসার ভক্তের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ, বধু বরণ, চ্যানেল আটের ক্রাইম সিরিজÑ ইত্যাদি প্রোগ্রাম বাংলাদেশে ধুমসে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট তো আছেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে প্রচুর স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে।
বাস্তবে আমি দেখি যে, ভারতীয় চ্যানেল বিশেষ করে স্টার জলসা ৫৮ শতাংশ কেন, ৮০ শতাংশ দেখেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেক বাড়ির মহিলারা বিশেষ বিশেষ সময়ে টেলিফোনও রিসিভ করেন না। ফোন করলে বলেন যে, তিনি বা তারা কলকাতার অমুক সিরিয়াল দেখছেন। ১ ঘণ্টা পর ফোন করুন। আবার যাদের সাথে আপনার হৃদ্যতা বেশি তারা আপনাকে খোলাখুলি বলবে, ভাই, অমুক অমুক দিন অমুক অমুক সময়ে আপনারা ফোন করবেন না অথবা বাসায় আসবেন না। কারণ তখন আমরা ইন্ডিয়ার অমুক চ্যানেলের অমুক সিরিয়াল দেখি। এই সময়গুলোর বাইরে আপনাদের জন্য অবারিত দ্বার। যখন ইচ্ছা তখন আসবেন বা ফোন করবেন। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেন যে, ভাই, বধূ বরণের ইন্দিরা চৌধুরী তথা অঞ্জনা বসুকে দেখছি। এখন কথা বলতে পারব না। অনেক পুরুষ তো বটেই, অনেক মহিলার কাছেও বধূ বরণের ইন্দিরা চৌধুরী তথা অঞ্জনা বসু এখন রীতিমতো আইকন হয়েছেন, এক সময় যেমন আইকন ছিলেন সুচিত্রা সেন। অনেককে দেখেছি, শুধুমাত্র অঞ্জনা বসুকে দেখার জন্যই বধূবরণ দেখেন।
প্রিয় পাঠক, এগুলো কোনো বানানো কথা নয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এসব বলছি। আমি এক ভদ্র মহিলাকে জানি। তিনি অত্যন্ত উচ্চ পদস্থ এক আমলার স্ত্রী। তার এক ছেলে আমেরিকার এ্যারিজোনা এবং এক মেয়ে কানাডার অন্টারিওতে সপরিবারে বাস করেন। তারা ওইসব দেশের নাগরিক। ভদ্র মহিলা যখন বাংলাদেশে থাকেন তখন তিনি জি বাংলা, স্টার প্লাস, সনি এবং স্টার জলসার পোকা হয়ে থাকেন। যখন তিনি আমেরিকা বা কানাডায় ছেলেমেয়েদের কাছে যান তখন সেখানে তাদের টিভিতে এসব চ্যানেলগুলো যুক্ত করেন। বিদেশে এই তিনটি চ্যানেল দেখার জন্য, যত দূর মনে পড়ে, তাদেরকে মাসে ৯০ ডলার অথবা ১২০ ডলার দিতে হয়। এই যে অতিরিক্ত ৯০ বা ১২০ ডলার তারা পে করেন সেটা করেন শুধুমাত্র ইন্ডিয়ার ওই সিরিয়ালগুলো দেখার জন্য। এই হলো দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে বাংলাদেশি মহিলাদের ইন্ডিয়ান টেলিভিশন দেখার ক্রেজ।
॥ দুই ॥
বাংলাদেশে মহিলারা যে ভারতীয় চ্যানেল বেশি করে দেখেন সেটি একটি জরিপেও উঠে এসেছে। দৈনিক ‘প্রথম আলোতে’ গত ১৫ জুন একটি রিপোর্ট করা হয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, “একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে টেলিভিশন দেখেন এমন নারীদের ৬৬ শতাংশের বেশি অধিকাংশ সময় ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখেন। চ্যানেলগুলোর শীর্ষে রয়েছে স্টার জলসা। বাংলাদেশের ৫৮ শতাংশ নারী দর্শক নিয়মিত এই চ্যানেলটি দেখেন।
সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ‘তথ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও আচরণ পরিবর্তন কর্মসূচির প্রভাব যাচাই-বিষয়ক’ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ওই জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। জরিপটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ। জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৯০ শতাংশ নারী টেলিভিশন দেখেন। এদের ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ অধিকাংশ সময় ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসা দেখেন, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ জি বাংলা এবং ১ দশমিক ৮ শতাংশ দেখেন স্টার প্লাস চ্যানেল।
পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের ৮৯ দশমিক ৮ শতাংশ নারী টেলিভিশন দেখেন। বস্তিতে এই হার ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ। রেডিও শোনেন দেশের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ নারী। সংবাদপত্র ও সাময়িকী পড়েন ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ।”
সিনেমা, টেলিভিশন বা বিনোদন জগতে আদর্শ খুব বেশি একটা কাজ করে না। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন চ্যানেল আপনার হাতের মুঠোয়। আপনি আপনার রিমোট কন্ট্রোল চাপতে থাকুন। বাংলাদেশে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়া প্রভৃতি দেশের ভালো ভালো চ্যানেল দেখতে পাবেন। সুতরাং ইন্ডিয়ার ওই চ্যানেলটি দেখব না, এসব কথা বলে এখন আর পার পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ইউটিউব ব্যাপকভাবে চালু হওয়ার ফলে আপনি ৪০ বছর আগের সিনেমাও ইউটিউবে আনতে পারেন এবং হাল আমলে যেসব সিনেমা রিলিজড হচ্ছে সেগুলোও অনায়াসে ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশে যারা সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন তারা ইতোমধ্যেই ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিটি দেখেছেন। আরো দেখেছেন ‘বাজিরাও মাস্তানি’ এবং ‘পিকু’। এগুলো সবাই ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করেছেন। এগুলো ছেড়ে বাংলাদেশের ছবি কে দেখবে? পত্র পত্রিকায় ব্যাপকভাবে পাবলিসিটি পাচ্ছে যে, ‘সুলতান’ নামে একটি হিন্দি ছবি ভারতের সিনেমা হলসমূহে রিলিজড হয়েছে গত সপ্তাহে। ছবিটি প্রথম তিন দিনেই ভারতের বিভিন্ন সিনেমা হল থেকে ১০৬ কোটি টাকা উঠিয়ে এনেছে। সিনেমা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে ভবিষ্যৎ বাণী করছেন যে, এই সুলতান সিনেমাটি যে টাকা কামাই করবে সেটা ৩০০ কোটি টাকাকেও ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের লোকেরাও সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খান, রনবীর কাপুর, রনবীর সিং প্রভৃতি নায়কের যত নাম জানে সেই তুলনায় বাংলাদেশের কোনো নায়কের নাম ততখানি জানে না। নায়িকাদের মধ্যে দীপিকা পাডুকোন শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও একটি হাউজ হোল্ড নেম। ক্যাটরিনা কাইফ আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তো বাংলাদেশের তরুণ এবং প্রৌঢ়দের হার্ট থ্রব। তাদের অঙ্গ সঞ্চালনে এদের হৃদ কম্পন শুরু হয়। অথচ বাংলাদেশের বড় পর্দায় অর্থাৎ সিনেমা হলগুলোতে তাদের ছবি একটিও দেখানো হয়নি। তারপরেও তাদের এত বিপুল জনপ্রিয়তা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের কয়জন নায়ক এবং নায়িকার নাম আমরা করতে পারি? বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ তাদের সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নামই জানেন না। এই পটভূমিতে আমার স্পষ্ট মতামত হলো এই যে, যত দিন পর্যন্ত আমরা আমাদের সিনেমার মান উন্নত করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত ভারতের সিনেমা প্রদর্শনকে গালাগাল করে লাভ নেই।
॥ তিন ॥
কয়েক দিন আগে একটি সভায় এক সময়কার নাম করা সিনেমা নির্মাতা, কাহিনীকার এবং অভিনেতা আমজাদ হোসেনের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। অনেকেই জানেন যে, আমজাদ হোসেন এক সময় বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় সিনেমা নির্মাতা, অভিনেতা এবং কাহিনীকার ছিলেন। টেলিভিশনে তিনি ‘জব্বার আলী’ নাটক করতেন। নাটকটি খুব জনপ্রিয় ছিল। যাই হোক, আলাপচারিতার একপর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, “আমজাদ ভাই, আপনি ইদানীং আর টেলিভিশনে নাটক করেন না কেন?” তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশে ২৭/২৮টি চ্যানেল আছে। আপনি কি সবগুলো চ্যানেল দেখেন? নাকি দেখা সম্ভব? সুতরাং কোন চ্যানেলে কখন আমার কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটা আপনি বুঝবেন কীভাবে?” আমি বলি, “তা ঠিক, সেটি হতেও পারে।” তখন উনি হেসে বললেন, “আসলে আপনাকে আমি ভড়কে দিলাম। ইদানীং আর সিনেমা বা টিভি প্রোগ্রাম করি না। বাংলাদেশের প্রোগ্রামগুলোর কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই। এখন বাংলাদেশের নারীদের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় ৭০ শতাংশ ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। এর মধ্যে আর টিভি প্রোগ্রাম করার কোনো ইন্টেরেস্ট পাই না।”
আজ ২০১৬ সালে এসে আমরা এ কথা বলছি। অথচ ১৫/১৬ বছর আগে আমরা অন্যভাবে চিন্তা করতাম, অন্যভাবে ভাবতাম। সে ভাবনাগুলোর প্রতিফলন পুরাতন কাগজ ঘাঁটলেই পাওয়া যায়। আমি বিস্তারিততে না গিয়ে পুরনো কাগজ ঘেঁটে কয়েকটি শিরোনাম আপনাদের কাছে পেশ করছি। “ঋত্বিক রোশন, মাধুরী দীক্ষিত এবং মালকিনির স্পর্ধিত উক্তি : নেপালিদের ভারতবিরোধী গর্জন (দৈনিক সংগ্রাম, ১২ জানুয়ারি, ২০০১)”, “প্রতিবাদ করে রোষের মুখে রবিনা, জয়া/উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিন্দি ছবি বয়কটের ডাক জঙ্গিদের (আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৭ আগস্ট, ২০০৩”, “আমাদের আকাশ খোলা, ওদের আকাশ বন্ধ (দৈনিক যুগান্তর, ২৪ জানুয়ারি, ২০০৪)”, “পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের টিভি দেখা যায় না কেন? (প্রথম আলো, ০৪ ডিসেম্বর, ২০০৩)”, “দয়া করে হিন্দি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিন (প্রথম আলো, ২০ জানুয়ারি, ২০০৪”, “অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা/কলকাতাসহ ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল (দৈনিক সংগ্রাম, ১১ জুলাই, ২০০৪)”, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টেলিভিশন সম্প্রচারে আকাশ-পাতাল বৈষম্য/ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধের দাবি বিভিন্ন মহলের (দৈনিক সংগ্রাম, ১১ মার্চ, ২০০৭)”, “Refusal of Indian access to Bangladeshi TV channels (Daily Star, 1 July, 2012)”.
এ ধরনের অসংখ্য পেপার কাটিং আমার কাছে রয়েছে। নমুনা হিসেবে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। দেখা যাচ্ছে যে, ২০০১ সাল থেকে আমরা বলেই যাচ্ছি, বলেই যাচ্ছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। কিন্তু নেপাল ওইসব বলাবলির মধ্যে নেই। একবারে ডাইরেক্ট অ্যাকশন নিয়েছে। কয়েক দিন আগে জি বাংলার ‘দাদাগিরি’ অনুষ্ঠানের গ্রান্ড ফিনালে হয়ে গেল। তিন মাস ধরে চলা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের কোটি দর্শক দেখেছেন। তারও আগে শেষ হলো ‘সা রে গা মা পা’ নামক অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক গোগ্রাসে গিলেছেন। ভারতীয় অনুষ্ঠান দেখার জন্য বাংলাদেশিদের তৃষ্ণা যদি এত প্রবল হয় তাহলে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ হবে কীভাবে? ওই দুটি অনুষ্ঠান ভালো হোক বা খারাপ হোক, সেটি বড় কথা নয়। আমাদের দেশের ২৭/২৮টি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানের নাম করুন, যেটি বাংলাদেশের মানুষ সা রে গা মা পা বা দাদাগিরির মতো গোগ্রাসে গেলে। যাদের অনুষ্ঠানের মানের এমন দৈন্য তারা ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের জন্য মাথা কুটে মরলেও কোনো দিন সেটি বন্ধ হবে না। শুধু ইউটিউব কেন, এখন তো বাংলাদেশে যারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেন তারাও বোনাস হিসেবে দেন মিডিয়া সার্ভার, যেখানে ভারতীয় এবং বিদেশি অসংখ্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান থাকে।
তারপরেও বলব, নেপালের মতো সাহস থাকলে বাংলাদেশেও অনেক আগেই হয় ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হতো, না হয় বাংলাদেশি চ্যানেল ইন্ডিয়াতে দেখানো হতো।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন