যশোর ব্যুরো : যশোরে প্রবাসীর কাছ থেকে ৩ হাজার ইউএস ডলার ছিনতাই অভিযোগ এবং পরবর্তীতে জানাজানি হলে তা ফেরত দেয়ার ঘটনায় রোববার থেকে ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ ঝিকরগাছা সড়কে ব্যাগ তল্লাশির সময় পুলিশ ওই ডলার ছিনিয়ে নেয়। অভিযুক্ত এস আই এজাজ আহম্মেদসহ ৫ পুলিশকে লাইনে ক্লোজড করে চলছে জিঙ্গাসাবাদ। একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে বিভাগীয় মামলা। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে যশোরের ঝিকরগাছা থানার দারোগা এস আই এজাজসহ সঙ্গীয় ফোর্সরা সুইডিশ নাগরিক খুকুমনি পারভীনের ব্যাগ তল্লাশি করে জোরপূর্বক ৩ হাজার ইউএস ডলার ছিনিয়ে নেয়। সুইডিশ প্রবাসী খুকুমনি পারভীন ও তার স্বামী মিজানুর রহমান পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এবং সাংবাদিকদের জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ এক যুবকের মাধ্যমে একটি খামে করে তিন হাজার ডলার ফেরত দেয়। যুবকটি তাদের জানায়, দারোগা স্যার এই ডলার আপনার কাছে দিতে বলেছে। এর পর পরই যুবকটি একটি সাদা কাগজ বের করেন বলেন, এখানে একটু লিখে দেন যে, “আপনাদের ডলার পুলিশ নেয়নি। ব্যাগের ভেতরেই ছিল। খোঁজাখুঁজির পর আপনারা ব্যাগের ভেতরেই ডলারগুলো পেয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে আপনাদের কোন অভিযোগ নেই।” কিন্তু মিজানুর রহমান ও খুকুমনি পারভীন এসব কথা লিখতে অস্বীকার করে যুবকটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। কিছুক্ষণ পর কনেস্টবল আজিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি লোহাগড়া থেকে ২ জন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মিজানুরের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া শহরে যান এবং একই রকমের আব্দার করেন। তারা জানান, ‘আপনারা এই লিখিত না দিলে দারোগা এজাজসহ তার সঙ্গীয় ফোর্সদের চাকরি থাকবে না’। মিজানুর বা তার স্ত্রী খুকুমনি পারভীন সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। তাদের কথা, আমরা কেন মিথ্যা কথা লিখে দেব। দেরিতে হলেও যশোর পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে এতে তারা খুশী। কারণ প্রতিবাদ না করলে কয়েক পুলিশের জন্য পুরো পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হত। একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিনা অনুমতিতে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যাত্রীদের তল্লাশির নামে হয়রানি ও ডলার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা থানার দারোগা এজাজ, কনেস্টবল আজিজুর, মামুন, বাবর ও জিয়াউলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন