মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রায়পুরে ৮৯ পরীক্ষার্থীর ভালো ফলাফলে অনিশ্চয়তা

প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার এলএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি কক্ষে প্রশ্নপত্র ১৫ মিনিট দেরিতে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরপত্র কেড়ে নেয়ার ঘটনায় ৮৯ পরীক্ষার্থীর ভালো ফলাফলের অনিশ্চিতের আশঙ্কা করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের রায়পুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন ক্ষতিগ্রস্থ মাচ্চেন্টস্ একাডেমির অভিভাবক ও শিক্ষকরা অভিযোগ করা। এঘটনায় ১নং ৮৯ পরীক্ষার্থীর বাংলা প্রথম পত্রে খাতা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তারা শিক্ষা মন্ত্রী ও কমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাচ্চেন্টস্ একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী, সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবক মাসুদ খান, এড. প্রেমধন মজুমদার, নজরুল ইসলাম লিটন, মো. মাহমুদ, গবিন্দ পালসহ প্রায় ৫০জন পরিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানান, গত সোমবার দুপুরে পৌর শহরের এলএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেরিতে দেয়া এবং উত্তরপত্র নির্ধারিত সময়ের আগে নেয়ায় ৩৫ পরীক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং পাঁচ শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অভিভাবকরা তাদের উদ্ধার করে রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে এলমি নামের এক পরীক্ষার্থী হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়ছে। কেন্দ্র পরির্দশকের ভুলের কারেণ এখন অনেক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত- সোমবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের রচনামূলক পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক কয়েকজন পরীক্ষার্থী আপত্তি জানালে পরে সময় বাড়িয়ে দেয়া হবে হলে তাদের শান্তনা দেন ওই চার পরির্দশক। কিন্তু বাড়তি সময় না দিয়ে উল্টো রচনামূলকের উত্তরপত্রের ৫ মিনিট আগে খাতা কেড়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রের চার পরিদর্শক এলএম উচ্চ বিদ্যালয়ের চন্দন সাহা, মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাহাতাব, মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনুস ও কাজির দিঘীর পাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পারভেজকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন