শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরেও হয়নি জাতীয়করণ

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি কলেজ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হলেও রহস্যজনকভাবে জাতীয়করণে বঞ্চিত হয়েছে। এতে জনমনে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারের শর্তানুযায়ী উপজেলার মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ সকল শর্তপূরণ করেছে। এদিকে ১৯৭৩ সালে মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলে দরিদ্র পরিবারে আলো ছড়াতে শুরু করে। এখানের কোনো পরিবার দারিদ্র্যর কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়নি। অনেক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা বিনা বেতনে পড়ে এ কলেজের গন্ডি পেরিয়ে দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকে ভালো ফলাফল, খেলাধুলা, স্কাউটিং, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সমুজ্জ্বলভাবে এগিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠান। কলেজটির শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় জেলার সদর, ফুলবাড়ি, উলিপুরপুর, চিলমারী উপজেলার ছাত্রছাত্রীরা এ কলেজে লেখাপড়া করছে যা অন্য কলেজে নেই। কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো স্কুল, ব্যাংক, বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ মো. সফিকুল ইসলাম রানা জানান, কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকসহ ৬টি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে যথেষ্ট অবকাঠামো ও প্রায় ৭ একর জমি রয়েছে। শিক্ষা বান্ধব সরকারের সুদৃষ্টির কারণে ৪ তলা ভবন নির্মাধীন। কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা তিন হাজার ও শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৯০ জন। উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত হওয়ায় জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলার যোগাযোগ অত্যন্ত ভালো। তিনি আরও জানান, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু ম-ল, সাধার সম্পাদক মো. জাফর আলী, স্থানীয় সরকারে প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমার রাঙ্গা, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সপুরা বেগমের সুপারিশক্রমে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সংসদে বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ আলহাজ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই একটি ডিও লেটার প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দাখিল করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের স্মারক নং-৬২৪০। এদিকে জাতীয়করণে মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এলাকার জনগণ, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত ১২ জুলাই কলেজটি জাতীয়করণের লক্ষে রাজারহাট শহরে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন