সাইদুল বিশ্বাস, সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে : সাঁথিয়াবাসীর অনেক দিনের প্রত্যাশার স্বপ্নের রেল লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত গতিতে চলছে মাটি ভরাট, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে সরকারের অধিগ্রহণকৃত পাকা, আধা পাকা, ঘর ও গাছ পালা হরিলুটের অভিযোগ। জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে পাবনা, সুজানগর ও সাঁথিয়া হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালার চর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ কাজের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের পাবনা থেকে সুজানগরের ও সাঁথিয়া উপজেলার আংশিক হয়ে বেড়ার ঢালার চর পর্যন্ত কাজ শুরু করেন মীর আক্তার হোসেন নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ৫৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩.০৮ কিলোমিটার কাজ পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের সাঁথিয়ার বহলবাড়িয়া-রাজাপুর থেকে শুরু করা হয়। প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জায়গা বুঝে নিয়ে মাটি ভরাটসহ ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ শুরু করেছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানান, ৫৩.০৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ২টি স্টেশন, ৯টি ব্রিজ ও ৭৩টি কালভার্ট রয়েছে। সুজানগরের তাঁতি বন্ধ হবে বি টাইপ ও সাঁথিয়ার ভৈরবপুর হবে ডি টাইপ মানের দুটি স্টেশন। তারা আরও জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ২৭ মাসের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ করতে হবে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে রেল কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজেশে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারের অধিগ্রহণকৃত পাকা, আধা পাকা ঘর ও গাছ পালা রাতের অন্ধকারে এবং দিনে প্রভাব সৃষ্টি করে হরিলুট করছে। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রহিম সরদার বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে নেয়ায় এলাকাবাসীর তৎপরতায় তা বন্ধ হলেও গত বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর গ্রামের হাজ্বী হাকিমুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অধিগ্রহণকৃত পাকা ভবন ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তারা স্থানীয়দের জানান, রেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ভবন ভাঙা হচ্ছে। ঈশ্বরদী অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, সরকারি সম্পদ কেউ নিতে পারে না। ব্যক্তিগতভাবে নিতে হলে সরকারের নিকট থেকে নিলামে তা ক্রয় করে নিতে হবে। যারা অধিগ্রহণকৃত সরকারি সম্পদের অর্থ গ্রহণের পরেও হরিলুট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন