করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়াতে রাজধানীর কাঁচাবাজার খোলা মাঠে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক বাজার খোলা রাস্তা, মাঠ ও উন্মুক্ত ফুটপাতে বসানো হয়েছে। মহল্লায় ভ্যানে করে নানা প্রকার সবজি বিক্রিও হচ্ছে রাজধানী জুড়ে। ঢাকা মহানগর পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার উদ্যোগে বাজারগুলো স্থানান্তর করা হয়। পর্যায়ক্রমে সবকটি বাজার এভাবে সরিয়ে রাস্তার পাশে বা খোলা মাঠে নেয়া হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীর ফুটপাতে বসেছে কাঁচাবাজাররাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশনের দেড় শতাধিক মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটের মধ্যে ২৮টি কাঁচাবাজার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটির ১৩টি এবং উত্তর সিটির ১৫টি মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটে চলাচলের জায়গা খুবই কম। গাদাগাদি করে এসব স্থান থেকে কাঁচাবাজার করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব বাজার উন্মুক্ত এবং খোলা মাঠে স্থানান্তরের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে রাজধানীর যে সব কাঁচাবাজার ফুটপাত বা মূলসড়কে স্থানান্তর করা হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- নিউ মার্কেট বনলতা কাঁচাবাজার, কাঁঠালবাগান কাঁচাবাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলওয়ে কাঁচাবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, দয়াগঞ্জ ওয়ারী কাঁচাবাজার, ধলপুর মালতিলতা কাঁচাবাজার, শ্যামবাজার কাঁচাবাজার, বাদামতলী কাঁচাবাজার, নওয়াব ইউসুফ কাঁচা মার্কেট, মিরনজল্লাহ কাঁচাবাজার ও ঠাটারী বাজার কাঁচাবাজার। এর মধ্যে নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেট কাঁচাবাজারটি আরমানিটোলা খেলার মাঠে, খিলগাঁও কাঁচাবাজার পাশের মাঠে, মালিবাগ কাঁচাবাজার জনপথ সড়কে বসছে। নিউমার্কেট কাঁচাবাজার পাশের মূল সড়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বনানী, মিরপুর-১ নম্বর, মিরপুর-১১ নম্বর, কল্যাণপুর বাজারগুলো খোলা জায়গায় সরানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, রাজধানীর যে বাজারগুলো এখনো খোলা জায়গায় সরানো যায়নি, সেগুলো দ্রæত স্থানান্তর করা হচ্ছে। পুলিশ বাজার কমিটিগুলোকে এ বিষয়ে সহায়তা করছে। বাজারে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট্রদের সচেতনতা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসূফ আলী সরদার বলেন, আমাদেও যেসব কাঁচাবাজার রয়েছে, সেগুলো খোলা মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বাজার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে মালিবাগ ও খিলগাঁও রেলগেট সামনের সড়কে এবং শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি মাঠে খুচরা বিক্রেতাদের জন্য অস্থায়ী দোকান বসিয়ে দিয়েছে পুলিশ। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একেকটি দোকান বসতে দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতাকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গøাভস ও মাস্ক পরিধান করে এখানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন