ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের গড়াইটুপি গ্রামের আমাবতির মেলায় অশ্লীল নাচ, যাত্রা, জুয়া, লাকী কুপন লটারি ও মাদকের আসর বসেছে। তিতুদহ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলী এই মেলার আয়োজক। মেলার নামে অসামাজিক কাজ করে ঝাল পটলের ব্যবসায়ী থেকে এখন কোটিপতি। অভিযোগ উঠেছে সোনা চোরাচালন ও মাদক সিন্ডিকেটির মাধ্যমে শুকুর আলী নিজেকে দানবীর হিসেবে জাহির করেন। তার আদি বাড়ি কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। মা তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিতুদহ গ্রামে মামার বাড়ি মানুষ হয়েছেন। দুই নাম্বারী টাকায় নিজ গ্রামে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে বানিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন আলীসান বাড়ি। এই টাকার উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামবাসীর ভাষ্য ৩/৪ বছর আগেও শুকুর আলী বাজারে বাজারে ঝাল পটলের ব্যবসা করতেন। রাতারাতি তার ধনসম্পদ কীভাবে বৃদ্ধি হলো এই প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। এদিকে মেলা বন্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও মেলার আয়োজক আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক খাইরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন এডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি নামে এক আইনজীবী। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র না নিয়েই চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বিতর্কিত গড়াইটুপি মেলার অনুমোদন দিয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে অনুমোদন পাওয়া এ মেলা ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও মেলার আয়োজক চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলী পুলিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে মেলা বসিয়েছেন। এ জন্য তিনি ঘাটে ঘাটে অঢেল টাকা ছিটিয়েছেন বলে কথিত আছে। মেলায় অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও লাকী কুপন লটারি চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন