বল-ব্যাট হাতে তাদের কারুকাজ দেখতে দেখতে বেড়ে উঠেছেন। পরবর্তীতে আবার তাদের সঙ্গে একই দলে কিংবা বিপক্ষ দলে খেলার সুযোগও হয়েছে। এমন অলরাউন্ডারদের মধ্য থেকে নিজের পছন্দের সেরা পাঁচজনকে বেছে নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তার সাবেক সতীর্থ কপিল দেব ও পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান।
এই দুই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ছাড়াও আরও যে তিনজন অলরাউন্ডারকে শচীন সেরা হিসেবে অভিহিত করেছেন, তারা হলেন- নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যালকম মার্শাল ও ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম।
শুক্রবার জীবনের ক্যারিয়ারে ৪৭ বছর পূর্ণ করেছেন শচীন। ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ খ্যাত তারকা ‘স্টার স্পোর্টস ক্রিকেট কানেক্টেড শো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বের সেরা পাঁচ অলরাউন্ডারকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। তাদের একজনের সঙ্গে আমি খেলেছি। তিনি কপিল দেব। দ্বিতীয়... যখন আমি পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলাম প্রথমবারের মতো, তখন আমি ইমরান খানের বিপক্ষে খেলেছিলাম।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা একমাত্র এই ক্রিকেটার যোগ করেছেন, ‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সফর ছিল নিউজিল্যান্ডে। তখন আমি স্যার রিচার্ড হ্যাডলির বিপক্ষে খেলি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে (১৯৯২ বিশ্বকাপে) ম্যালকম মার্শাল ও ইয়ান বোথামের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হয় আমার।’
সবশেষে ২০১১ সালে ভারতের জার্সিতে বিশ্বকাপ জেতা সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, এটিই আমার শীর্ষ পাঁচ অলরাউন্ডারের তালিকা, যাদের খেলা দেখে আমি বড় হয়েছি এবং পরে তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগও পেয়েছি।’
শচীনের জন্মদিন উপলক্ষে একটি পোল আয়োজন করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তার ভক্ত-সমর্থকরা দিয়েছেন ভোট। তারা ‘ডেজার্ট স্টর্ম’ সেঞ্চুরিটিকে বেছে নিয়েছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ খ্যাত সাবেক তারকার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস হিসেবে। সামান্য ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ৭৫ বলে ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি।
১৯৯৮ সালে শারজাহতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩১ বলে ১৪৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। ধূলিঝড়ের কারণে ওই ম্যাচে খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছু সময়। সেকারণেই তার সেঞ্চুরিটি ‘ডেজার্ট স্টর্ম’ নামে সুবিখ্যাত। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ভারত। তবে ৯ চার আর ৫ ছক্কার সাহায্যে তাক লাগানো ব্যাটিং উপহার দিয়ে ক্রিকেটবিশ্বের হৃদয় আরও একবার জিতে নিয়েছিলেন শচীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন