বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রানা প্লাজার ৫৭ ভাগ শ্রমিক কর্মহীন

একশনএইডের অনআইন ডায়লগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

৭ বছর আগে সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ এখনও কর্মহীন। গত কয়েক বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ পোশাক শ্রমিকের স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটেছে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে দুর্বল অনেকেই। এখনও অনেকের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা কাজ করে।
তবে রানা প্লাজা ট্রাস্ট তহবিলে পড়ে আছে ৮ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে কর্মহীনদের জীবনমানের অনেকটাই পরিবর্তন করা সম্ভব বলে মনে করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড। গতকাল শনিবার বেরসকারি উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সপ্তম বর্ষে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক অনলাইন ডায়ালগে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় শ্রমিকদের নিয়ে একটি জরীপ তুলে ধরা হয়। উল্লেখ ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’র সাত বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৪ এপ্রিল। দিবসটিকে সামনে রেখে এই অনলাইন ডায়ালগের আয়োজন করে একশনএইড।
একশনএইড বলছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ এখনও কর্মহীন। তবে তারা একেবারেই কর্মহীন থাকেন না, কিন্তু বছরের বিভিন্ন সময়ে শারীরীক দুর্বলতা এবং নানা সমস্যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন।
জরিপে দেখা গেছে, যে সকল ভুক্তভোগী এখন কর্মরত রয়েছেন তাদের মধ্যে ১২ শতাংশই পোশাক কারখানায় রয়েছেন। বলা হয় গত কয়েক বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ পোশাক শ্রমিকের স্বাস্থ্যে অবনতি হচ্ছে। তারা মূলত তীব্র মাথা ব্যথা, হাত-পায়ের ব্যথা ও অসাড়তা এবং মেরুদন্ডের ব্যথাকে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অন্যদিকে ৫৮.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা মোটামুটি সুস্থ আছেন এবং ২৭.৫ শতাংশ নিশ্চিত করেছেন যে তারা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ১২.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয়। এখনও অনেকের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা কাজ করে।
অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের ১০ শতাংশ এখনও নানা দুর্দশায় আছে। রানা প্লাজা ট্রাস্টে ৮ কোটি টাকা রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের উচিৎ এই ট্রাস্টের টাকা দিয়ে আহতদের আরেক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া।
আইএলও- বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টও তোমা পতিয়াইনেন বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিই অত্যধিক গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে কারখানা খোলার চিন্তা করলেই হবে না, সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করতে হবে।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, কোভিড-১৯ এর ফলে যদি কোন সুযোগ তৈরি হয় তাহলে সেটা হতে হবে শ্রমিক বান্ধব। আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশ। শ্রমিকদের রেশন দিতে হবে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, চাকরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যুক্ত ছিলেন আইন ও শালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ড. হামিদা হোসেন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমূখ। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন