মোহাম্মদ আবদুল গফুর : অন্য কোনো পত্রিকায় খবরটি দেখেছি বলে মনে পড়ে না। তবে দৈনিক ইনকিলাব ছেপেছে। গত ১৬ জুলাই (২০১৬) শনিবার দৈনিক ইনকিলাব-এর ‘আন্তর্জাতিক’ পাতায় যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে (৫ কলাম শিরোনামে) ছাপা হয়েছে খবরটি। উৎপাদিত খাদ্যের অর্ধেকই ফেলে দেয় মার্কিনিরা। এত অধিক পরিমাণ খাদ্য ফেলে দেয়ার জন্য একটা অজুহাত সৃষ্টির প্রয়োজন। সে অজুহাত হচ্ছে : খাবার নিখুঁত না হওয়া।
গত শনিবার দৈনিক ইনকিলাব-এ প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে : “উৎপাদিত মোট খাদ্যের অর্ধেকই ফেলে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। খাবার নিখুঁত হচ্ছে না এমন অজুহাতে এ কাজটি করে থাকে তারা। আর এতে দেশটিতে একদিকে যেমন বাড়ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য অপরদিকে খাদ্য অপচয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কৃষক, মোড়ককারী, পরিবহন শ্রমিক, গবেষক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে খাবার অপচয় বিষয়ক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এতে দেখা যায়, নিজেদের মনমতো না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত খাদ্যের বড় অংশ মাঠেই ফেলে রাখা হয়। কিছু অংশ গৃহপালিত পশুকে খাওয়ানো হয়, আর বাকি অংশ নিক্ষেপ করা হয় ময়লা ফেলার স্থানে। দেখতে নিখুঁত বা মানসম্মত নয় এমন মনোভাব দেশটিতে বিশাল পরিমাণ ফসল ফেলে দেয়ার পেছনে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে : “যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফসলের মাঠ ও বাগান থেকে শুরু করে পূর্ব উপকূলের পপুলেশন সেন্টার পর্যন্ত কৃষক ও খাদ্য সরবরাহ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুধু খুচরা বিক্রেতাদের নিখুঁত পণ্য পাওয়ার কাছে উচ্চমান ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎসর্গ হচ্ছে। তাজা ফল ও সবজি সরবরাহকারী জে জনসন জানান, বর্তমানে ব্যবসা এমন একটা পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, নিখুঁত পণ্য না হলে তা বাতিল করা হচ্ছে। এমন একটি বেড়াজালে কৃষকসহ খাদ্য সরবরাহের সহিত সংশ্লিষ্টরা আটকে পড়েছেন। ”
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি বছর খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহকরা প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের ছয় কোটি টন খাদ্য নষ্ট করছে, যা পুরো বিশ্বের খাদ্যপণ্যের তিন ভাগের এক ভাগ।
ফসলের মাঠ, গুদাম, প্যাকেজিং, বণ্টন, সুপার মার্কেট, রেস্তোরাঁ ও ফ্রিজে নষ্ট হচ্ছে এসব খাদ্য। এক গবেষণায় দেখা গেছে, খরচ ও ফসল সম্পর্কিত শ্রম বাঁচাতে নিয়মিত মাঠে ফসল ফেলে আসা হয়। এ ছাড়া সামান্য দাগ দেখা গেলে গুণগত মান ঠিক থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার না করে গুদামে পচার জন্য রেখে দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য অপচয়ের বদভ্যাস এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, আঙ্গুরের আকৃতি সমান না হলে তা ফেলে দেয়া হচ্ছে। এমন কি ঝুড়ি ঝুড়ি কমলা মাটি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে পরিত্যক্ত ও অপচয়কৃত খাদ্য বিশ্বের ৮ শতাংশ জলবায়ু দূষনের জন্য দায়ী, যা ভারত ও রাশিয়ার চেয়েও অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে এমন এক সময়ে এভাবে খাদ্য অপচয় করা হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ না খেয়ে থাকে। এ তথ্য পাওয়া গেছে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে। পৃথিবীতে প্রতি বছর ১লাখ কোটি ডলার সমমূল্যের ১৬০ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন হয়, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য অপচয়ের এ হার বৈশ্বিক ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য সমস্যায় ভুগছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এই খাদ্য অপচয়ের পেছনে যে ওই দেশের একশ্রেণীর ভাগ্যবান মানুষের অতিরিক্ত মুনাফা আকাক্সক্ষা দায়ী তা বোঝার জন্য অধিক গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। এই মাত্রাতিরিক্ত মুনাফাবাজির মূল কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী জীবনদর্শন, যা মানুষকে অমানুষ করে তোলে, যে জীবনদর্শন ব্যক্তি মানুষকে অপর ব্যক্তিদের প্রয়োজন সম্পর্কে উদাসীন থেকে শুধু নিজেদের আকাংখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে শিক্ষা দেয়। পুঁজিবাদী এ জীবনদর্শনের কুপ্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ব্যক্তি জীবনে যেমন অহংবাদী হয়ে উঠেছে, তেমনি জাতিগতভাবেও তারা পৃথিবীতে অন্যান্য জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ সা¤্রাজ্যবাদী অপশক্তিতে পরিণত হয়েছে।
অথচ মানব সমাজে প্রকৃত শান্তিÍ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রয়োজন এমন এক জীবনদর্শনের যা প্রতিটি মানুষকে অপরাপর মানুষের সঙ্গে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে শিক্ষা দেয় এবং প্রতিটি জাতিকে বিশ্বের অপরাপর জাতির সঙ্গে সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেয়। সমগ্র মানবসমাজ এক মহান ¯্রষ্টার সৃষ্টি এবং সেই নিরিখে সমগ্র মানব সমাজ জাতি-বর্ণ-শ্রেণী-ভাষা নির্বিশেষে একই ভ্রাতৃম-লীর অন্তর্ভুক্ত এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বে এ ধরনের সর্বাঙ্গসুন্দর মানবসমাজ গঠনের সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব। দুঃখের বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দেশ হওয়া সত্ত্বেও মানব সমাজে শান্তির গ্যারান্টি দানকারী উপরে উল্লিখিত বিশ্বজনীন জীবন দর্শনে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সঠিক ভূমিকা পালনে যেমন সফল হচ্ছে না তেমনি অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও বর্ণ ও শ্রেণীগত বৈষম্যমুক্ত সুন্দর সমাজ গঠনে সক্ষম হচ্ছে না। বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে যেমন জাতিতে জাতিতে সমান অধিকারের নিশ্চয়তাদানকারী বিশ্বব্যবস্থা গঠন অপরিহার্য, তেমনি প্রতিটি দেশে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্ণে বর্ণে শ্রেণীতে শ্রেণীতে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বৈষম্যের মূলোচ্ছেদের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী জীবনদর্শন দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও সমৃদ্ধতম দেশ হিসেবে স্বীকৃত তার জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ এখনো দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বাস করে। এটা দেশটির জন্য মোটেই গৌরবের কথা নয়।
অপরদিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও যে বর্ণবাদ একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে বিরাজমান তার প্রমাণ তো সাম্প্রতিকালেও দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে বিশ্ববাসীর। যে কোনো সময়ে ঐ সমস্যা আবার যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না তার গ্যারান্টি নেই।
এসবের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম প্রধান দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় আগামী দিনের নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধির আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে গেছে। এসব থেকে প্রমাণিত হয় বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী এই দেশটির ভবিষ্যৎ যে চিরকাল খুব উজ্জ্বল থাকবেই তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না।
আমাদের সুচিন্তিত বিবেচনায় এ আশঙ্কার মূলে রয়েছে বর্তমান বিশ্বের এ শক্তিশালী দেশটির জনগণের একটি সুষ্ঠু জীবন দর্শনের অভাব। মানুষের জীবন ধারণের জন্য সবচেয়ে প্রথমেই প্রয়োজন খাদ্য। যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভাবে যখন অভুক্ত থাকে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের একশ্রেণীর তথাকথিত ভাগ্যবানরা তাদের উৎপাদিত খাদ্যের অর্ধেকই ফেলে দেয় খরচ ও ফসল সম্পর্কিত শ্রম বাঁচাতে, অর্থাৎ অর্থনৈতিক লাভালাভের বিবেচনায় এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনোক্রমেই গৌরবের কথা নয়, সুখবরও নয়।
এই একটা ব্যাপারই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কোনো সঠিক জীবন দর্শনে বিশ্বাস করে না। মানব সমাজের জন্য সঠিক জীবন দর্শন শিক্ষা দেয়, মানুষ যার সৃষ্টি সেই মহান বিশ্ব ¯্রষ্টার দেয়া জীবনবিধান অনুসারে মানুষ তার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবে। মানুষ এমন এক সমাজ ও রাষ্ট্র সৃষ্টি করবে, সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করবে। মানুষ নিজেকে তার আয়ত্তাধীন সম্পদের সর্বোচ্চ মালিক মনে করবে না।
সম্পদে মানুষের মালিকানার অর্থ আয়ত্তাধীন সম্পদের ব্যবহার, অ-ব্যবহার বা অপব্যবহারের নিরঙ্কুশ অধিকার। সম্পদের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন বিশ্ব¯্রষ্টা, কোনো মানুষ বা মানব গোষ্ঠী নয়।
পৃথিবীতে সমস্ত সম্পদের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন বিশ্ব¯্রষ্টা। তার অর্থ কোনমানুষ বা মানব গোষ্ঠী তার বা তাদের আওতাধীন সম্পদে নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে। তার অপচয় করতে পারবে না। প্রয়োজন পূরণের পর তার বা তাদের আয়ত্তাধীন অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে দিতে হবে তাদের, যাদের সম্পদ নেই। সেই নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেসব তথাকথিত ভাগ্যবান নাগরিক খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের অপচয় করে তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অপরাধী। তাদের নিজ দেশেই বিরাট সংখ্যক লোক যেখানে ক্ষুধা ও দারিদ্রের শিকার, সেখানে খাদ্যের অপচয়ের জন্য মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে তাদের রীতিমতো বিচার ও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবে এ ব্যাপারে শুধু ওইসব তথাকথিত ভাগ্যবান ধনীরাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও শাসকদেরও বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হওয়া উচিত।
কিন্তু এসব যে সম্ভব নয়, তা সুস্পষ্ট। কারণ সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিতই হচ্ছে ভুল জীবন দর্শনের ভিত্তিতে। তাদের অনুসৃত জীবনদর্শন বলে, প্রতিটি মানুষ তার নিজ আয়ত্তাধীন সম্পদ যেভাবে খুশি ব্যয় করতে পারবে। এতে রাষ্ট্র বা কারও কিছু বলার থাকবে না। এই পুঁজিবাদী জীবনদর্শনের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যবান ধনীরা তাদের আয়ত্তাধীন খাদ্যের মতো মূল্যবান সম্পদ অভুক্ত ও দরিদ্র দেশবাসীকে না দিয়ে অপচয় করেও ফেলে দিয়েও শাস্তিÍ এড়িয়ে চলতে পারে।
পৃথিবীতে মানবতার প্রকৃত কল্যাণকামী কোন জীবনদর্শন কিছুতেই এই অবস্থাকে মেনে নিতে পারে না। মানবতার প্রকৃত কল্যাণকামী জীবনদর্শন অনুসারে যদি বিশ্ব মানুষের চলার বাধ্যবাধকতা থাকত তা হলে দেখা যেত, কোনো মানুষ তার আয়ত্তাধীন সম্পদে নিজের প্রয়োজন পূরণের পর খোঁজ নিত, এমন কোনো দরিদ্র ব্যক্তি কোথাও আছে কিনা যার প্রয়োজন পূরণের মতো সম্পদ নেই। সেই মানুষের প্রয়োজন পূরণের কাজে তার সম্পদ সে অবাধে দিয়ে দিত।
এ ধরনের মানবতার প্রকৃত কল্যাণকামী সমাজ ও রাষ্ট্র দেখার সৌভাগ্য মাত্র একবারই মানব ইতিহাসে সম্ভব হয়েছিল সপ্তম শতাব্দীতে। যখন আরবের বুকে মদিনাতে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল সাম্য ভ্রাতৃত্বের আদর্শে এমন এক সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা, যে সমাজে খুব ধনী না হওয়া সত্ত্বেও মানুষের সব মৌলিক প্রয়োজন পূরণের সন্তোষজনক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল।
সেই আদর্শ রাষ্ট্রে খিলাফতের রাশেদার দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) নিজ কাঁধে করে দরিদ্রের বাড়িতে তার খাদ্য পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। খিলাফতের এক কর্মচারী খলিফাকে ওই খাদ্য বহনের দায়িত্ব তাকে দিতে অনুরোধ জানালে খলিফা তাকে এই বলে নিবৃত্ত করেন, কাল কিয়ামতের দিন আমার পাপের বোঝা কি তুমি বহন করবে? এই ধরনের আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা অন্যান্য দেশে তো দূরের কথা, খোদ মুসলিম বিশ্বেও এখন দেখা যায় না। তাই তো দেখা যায়, মুসলিম-অমুসলিমসহ সমস্ত বিশ্বেই আজ একশ্রেণীর ভাগ্যবানরা খাদ্যসহ সমস্ত সম্পদের অপচয় করছে। অপরদিকে সমস্ত বিশ্বে চলছে কোটি কোটি মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের শিকার হয়ে অসহায় জীবনযাপনের দুর্ভাগ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন