সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। চরাঞ্চলে বসবাসরত বন্যা দুর্গত মানুষের ঘরবাড়ি, পাট ক্ষেত, শাকসবজি, মরিচ ক্ষেত, অগভীর নলকূপসহ অন্যান্য পানিয় জলের উৎসগুলো নিমজ্জিত হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ। এছাড়া তিস্তা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শত কু হেক্টর জমির তোষা পাট ক্ষেত, বীজতলাসহ ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। ইতোমধ্যে বন্যার পানির তোড়ে হরিপুর পাড়াসাদুয়া মৌজায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের প্রায় ২শ ফুট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কাশিম বাজার, মাদারীপাড়া, চরমাদারী পাড়া, কারেন্ট বাজারসহ বেড়িবাঁধের পূর্বাঞ্চলে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ নিয়ে হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু জানান, বেড়িবাঁধের ভাঙন ঠেকানো না হলে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে চলে যাওয়াসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যার পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। চর এলাকায় শত শত পাটের জাগ ইতোমধ্যে ভেসে গেছে। পানিবন্দি মানুষেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছে কোন রকমে টিকে থাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধসহ উঁচু স্থানগুলোতে। বন্যায় দুর্গত মানুষ গবাদি পশু হাঁস-মুরগী নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানিয় জল, ওষুধপত্রের তীব্র সংকট। বন্যা এলাকায় ওষুধপত্র ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মৃধা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল আলম জানান, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ত্রাণ সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষজনকে উদ্ধারসহ সরকারিভাবে কোন সহায়তা দেয়া হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন