মোঃ মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর থেকে
শেরপুরের ৫টি উপজেলাতে হারিয়ে যাচ্ছ সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা। জেলার কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রিয় এ খেলাটি ধরে রাখার জন্য নেই কোন উদ্যোগ। শেরপুর জেলার গ্রামাঞ্চলে পূর্ব থেকেই হা-ডু-ডু খেলাটি খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। কৃষকসহ জেলার সাধারণ মানুষ কাজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এ খেলাটি খেলে বা দেখে খুব আনন্দ ভোগ করে থাকে। বিশেষ বর্ষার মওসুম শুরু হলে কাজ থাকে খুব কম। এ সময় কৃষকরা হা-ডু-ডু খেলে সময় পার করতো। কিন্তু কালের বিবর্তে সেটা এখন আর দেখা যায়না। এ জেলায় হাডুডু খেলার খেলুয়ারও ছিল অনেক। একাধিকবার জাতীয় পর্যায়েও হা-ডু-ডু খেলায় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে শেরপুর জেলা। কিন্তু প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না থাকায় জেলার হা-ডু-ডু খেলোয়াররাও এখন হতাশ। এজন্য শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ সংস্থা জেলা ক্রীড়া সংস্থাকেই দায়ী করছে অনেকে। খেলাটি হারিয়ে যেতে বসায়, হা-ডু-ডু খেলা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মও তেমন কিছু জানে না। যে কারণে তাদের মধ্যেও রয়েছে হা-ডু-ডু খেলা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব। হা-ডু-ডু খেলা নয় তরুণরা এখন কিকেট ও কেউ কেউ ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা এ খেলাটির ব্যপারে খুবই উদাসীন। এ খেলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকলেও নেই শুধু উদ্যোগ। বছরে একবার নামকাওয়াস্থে কোন একটা বিশেষ দিনে কিছু খেলোয়ার ডেকে এনে হা-ডু-ডু খেলার নয় এর নাম বদলে ভিন্ন আদলে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে বর্তমানে ছেলে মেয়েরা ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার প্রতি বেশী ঝুঁকে যাওয়ায় হা-ডু-ডু খেলার জন্য খেলোয়াড় পাওয়া যায় না। তবে এ খেলার জনপ্রিয়তা এখনও সবচেয়ে বেশী শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মোঃ নাজিমুল হক নাজিম বলেন, ক্রীড়া সংস্থার সামর্থ্যরে মধ্য থেকে আমরা হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো উদ্ধারের ইচ্ছা থাকলেও আমাদের আর্থিক দৈন্যতার কারনে তা পারছি না। তবে শেরপুর জনপ্রিয় এ খেলাটি যাতে না হারিয়ে যায় এ জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন এমনটাই দাবী সাধারণ মানুষ খেলোয়ারদের খেলোয়ারসহ সবার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন