করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও উত্তরে থেমে নেই সড়কে চাঁদাবাজি ও মাদক পাচার। অভিনব সব পন্থায় চলছে এসব অপরাধ বলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাগণ। অতি সম্প্রতি পণ্যবাহী একটি ট্রাকের ড্রাইভিং কেবিন থেকে ৫ কেজি এবং বগুড়া জয়পুরহাট ও গাইবান্ধার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে একটি মোটরবাইকের ড্রাইভিং সিটের ভেতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা আরও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বগুড়ার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আসলাম আলী জানিয়েছেন, নিয়মিত চেকিং এ থাকা ডিবির একটি টিম বগুড়া শহরের তিন মাথা এলাকায় নীলফামারীর ডোমার থেকে সিরাজগঞ্জগামী একটি বালু বোঝাই ট্রাক আটকে ওই ট্রাকের ড্রাইভিং কেবিনের মধ্যে ৫ কেজি গাঁজা পায়। এই ঘটনায় ওই ট্রাকের চালক জিলহক আকন্দ (৪৫) ও চালকের বড়ভাই আশরাফ আকন্দ (৫০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় ।
এর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা এলাকার হাইওয়ে সড়কে গভীর রাতে ডিউটিরত একদল পুলিশ চলন্ত ট্রাকের সাথে বহন করা অতিরিক্ত চাকার টায়ারের ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো ১৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে ।
এদিকে বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনে চলছে চাঁদাবাজী। বিশেষ করে রাতের বেলায় চাঁদাবাজরা হয়ে উঠছে অপ্রতিরোধ্য। অভিযোগ রয়েছে রহস্যজনক কারণে দেখেও দেখছে না হাইওয়ে পুলিশ। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে চাঁদাবাজরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বেপরোয়া গতিতে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে সম্প্রতি পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ঝটিকা শাহীন ধরা খেয়েছে ধান কাটা শ্রমিকদের হাতে।
পুলিশ শ্রমিকদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর বাস চালক মনির শাহীনসহ অজ্ঞাত ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ শাহীনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে ৩দিনের রিমান্ড প্রার্থণা করলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদিকে সড়কে চাঁদাবাজির সাথে জড়িতরা বিভিন্নভাবে ঝটিকা শাহীনকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন