শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চার মাসেও উদ্ধার হয়নি

প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক ব্যবসায়ীর পাথরবোঝাই নৌকা চার মাসেও উদ্ধার হয়নি। মালামালসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার নৌকা ফেরত পেতে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছেন। ধান খুইন্যা হাওরের বেরিবাঁধ ভেঙে পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সময় এ নৌকা দিয়ে ভাঙন রোধ করা হয়। এতে ধর্মপাশা উপজেলার মান্নান ঘাটের ভাটিতে বাবুপুর বাজার সংলগ্ন নূরপুর গ্রামবাসী তাদের বোরো ফসল ঘরে তোলেন। ঘটনার সময় পাথরবোঝাই আমিন নৌ পরিবহনের নৌকাটি নূরপুর গ্রামের পাশে সুরমা (ভূলাই) নদীতে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে জোরপূর্বক প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপর ধান খুইন্যা হাওরের বেরি বাঁধে নৌকাটি ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে দেয়। কিন্তু গত চার মাস অতিবাহিত হলেও নৌকাটি পানির নিচ থেকে উত্তোলন করে ফেরত দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি গ্রামবাসী। জানা যায়, ছাতক শহরের বাগবাড়ি মহল্লার পাথর ব্যবসায়ী হাজি আব্দুর রহমান-বকুলের মালিকানাধীন আমিন নৌ পরিবহন গত ২৩ এপ্রিল সকালে ২২শ’ ঘনফুট পাথর নিয়ে ছাতক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বিকাল ৪টায় ভোলাই নদী অতিক্রমকালে নূরপুর গ্রামের দিলোয়ার মিয়া, হুমায়ূন কবির, বাচ্চু মিয়া, ইউপি সদস্য আছাব মিয়া, সাবেক মেম্বার আব্দুর রহিম ও আব্দুল হাই, মীর কাশেম, আফজাল মিয়া, মজলু মিয়াসহ গণ্যমান্য লোকজন স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের দোহাই দিয়ে নৌকাটি জোরপূর্বক আটক করেন। পরে ধান খুইন্যা হাওরের ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ হাল জমির পাকা বোরো ধান রক্ষার জন্য নৌকাটি ভেঙে বেরিবাঁধে দিয়ে ফসল ঘরে তোলেন। এ সময় চালকসহ লোকজন নৌকার কোনো ধরনের ক্ষতি না করার জন্য বাধা দিলে নূরপুর গ্রামবাসী ধানকাটা শেষে যাবতীয় ক্ষতিপূরণসহ নৌকাটি তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ধান কাটার পর নৌকা মালিক গ্রামবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তলিয়ে যাওয়া নৌকাটি উঠানোর কোনো সুরাহা পাননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন