টঙ্গীর বিভিন্ন পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এসময় হামিম গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে মালিক পক্ষের একটি গ্রুপের সাথে অন্য একটি শ্রমিক গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। ১৪ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-কালীগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরোধ করে বেশ কিছু গাড়ী ভাংচুর করে এবং স্টেশন রোড এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। মহাসড়ক অবরোধ অগ্নিসংযোগের ফলে ঢাকা-ময়সনসিংহ মহাসড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্ট করে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে হামিম গ্রুপের কিছু শ্রমিক কারখানা গেটে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় মালিক পক্ষের কিছু শ্রমিক বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর চড়াও হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয় পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয় বলে টঙ্গী পশ্চিম থানার এস আই নাজমুল হুদা জানান।
বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, ঈদ বোনাস ও শতভাগ বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন। বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং পূর্ণ বেতন দিতে রাজি হচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং শ্রমিকরা কয়েক দফায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেছে তারপরও শ্রমিকদের বেতনের কোনো সমাধান হয়নি। গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে যে সকল কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারেননি শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রমিকরা শতভাগ বেতন, ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন