শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বুড়িচংয়ের মৎস্য চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বুড়িচং (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গত ১৬ জুলাই থেকে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পানির ঢলে গোমতি নদীর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃদ্ধি পেতে চলেছে উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ঘুংঘুর নদীর পানি। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ও টানা বর্ষণে বিভিন্ন নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বের হয়ে গেছে বেশির ভাগ পুকুরের চাষকৃত মাছ। এতে মাছ চাষকারী খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বের হয়ে গেছে বেশির ভাগ পুকুরের চাষকৃত মাছ। এভাবে টানা বৃৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হলে অচিরেই উপজেলার আরো বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি আরো অনেক পুকুরের মাছ বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ জুলাই সকালে উপজেলার বাকশীমুল গ্রামের অধিবাসী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি যিনি তার এলাকায় ১০টি পুকুরে খামার তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ চাষ করে আসছেন মো. সিরাজুল ইসলাম (মেম্বার) সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাতের আঁধারে চাষকৃত ওই সমস্ত রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার, তেলাপিয়া, কার্প ও ঘাসকার্প জাতীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। ওই এলাকার অপর মাছ চাষি মো. শরীফুল ইসলামের চাষকৃত ৩টি পুকুর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা, তপন সরকারের ২টি পুকুর থেকে ২ লাখ টাকা, মো. মনসুর আলীর ১টি পুকুর থেকে ১ লাখ টাকার মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে। এসব মৎস্য চাষি ও খামারির মালিকরা আরো জানান, সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতা না পেলে তারা তাদের ক্ষতি সারিয়ে উঠতে পারবে না। এ ছাড়া, বাকশীমুল বাজার থেকে পূর্ব দিকে যে রাস্তাটি গেছে সে রাস্তায় বাঁধের ফলে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে পানি সহজে প্রবাহিত হতে পারছে না। ফলে পানি জমাটবদ্ধ ও টানা বৃষ্টিপাতে ওই খামারিদের চাষকৃত মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অধিকন্তু, ওই সমস্ত মাছের খামারিসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি জমাটবদ্ধতার ফলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একাবাসী পানিবন্দী হয়ে দিনাতিপাত করছে। এভাবে গোমতি নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে অচিরেই উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়ে জনগণের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ব্যাপারে গত ২০ জুলাই বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহিদ পাভেল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম আঃ হককে উক্ত বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অচিরেই ওই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকদের বিভিন্ন সমস্যাদি খতিয়ে দেখে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন