সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতে মাইকে আজান দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ৩:০৮ পিএম

ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্জ গতকাল (১৫ মে) শুক্রবার এক রায়ে ঘোষণা করেছে, মসজিদে আজান দেয়ার সময় মাইক বা লাউডস্পিকার বাজানো চলবে না। বরং মোয়াজ্জেম খালি গলায় আজান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
যদিও রাজ্য প্রশাসন খালি গলাতেও আজান নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল; কিন্তু হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। কেন খালি গলায় আজান দিলে তা আইন ভাঙা হবে, তার স্বপক্ষে কোনও যুক্তি দিতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মে) আজান সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্তা ও অজিত কুমারের সমন্বিত বেঞ্চ করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের মধ্যে মসজিদে লাউডস্পিকারে আজানে নিষেধাজ্ঞা দেন।
আজানের সময় লাউডস্পিকার বাজানো যাবে কিনা, এই নিয়ে দুটি পৃথক মামলা হয়েছিল। একটি মামলা করেন বিএসপি সাংসদ আফজল আনসারি, অন্য মামলাটি করেন ফারুকাবাদের জনৈক ব্যক্তি সাইদ মুহাম্মদ ফয়সল। এই দুটি মামলার রায় এ দিন একসঙ্গে দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্ত ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ বলেন, লাউডস্পিকারে আজান শান্তিপূর্ণ ঘুমের ক্ষতি করে। একজনের অধিকারের জন্য অপরের অধিকারকে বিঘ্নিত করা ঠিক নয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া যদি কেউ মাইকে আজান দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়ে সমন্বিত বেঞ্চ বলেন, আমাদের মতে আজান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু, লাউডস্পিকার ও অন্যান্য যন্ত্রের সাহায্যে আজান দেয়া কখনো ধর্মের অখণ্ড অংশ হতে পারে না। মাইকে আজান দিতে না দেয়ার বিষয়টি সংবিধানে বর্ণিত ২৫ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে না বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
বলা হয়, সংবিধানে পরিষ্কার বলা হয়েছে- যতক্ষণ না কারও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ততক্ষণ অন্য একজন নাগরিক তার ভাল লাগছে না এরকম কিছু শুনতে বাধ্য নন। বরং যদি তাকে ওই কাজ করতে বাধ্য হতে হয় তাহলে তা আইনবিরোধী।
গত এপ্রিল মাসে লাউডস্পিকারে আজান ইস্যুতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিএসপি নেতা আফজাল আনসারি। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাউডস্পিকারে আজান দেয়ার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার ওই আবেদন খারিজ করে লাউডস্পিকারে আদান দেয়া বন্ধ রাখতে বলেন আদালত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
শওকত আকবর ১৬ মে, ২০২০, ৫:৫৯ পিএম says : 0
সব ধর্মের মানুষ বাধাঁহিন স্বাধিন ধর্মীয় আচার আচারন ইবাদত /প্রার্থনা করবে।কোন ভাবে বিধিনিযেদ আরোপ করা ঠিক নয়।ভারতের বোধদয় হোক।
Total Reply(0)
মানিক ১৬ মে, ২০২০, ৭:৪২ পিএম says : 0
গত ৩০০ বছর জিকিরে ফিকিরে থাকায় আজকে এই অবস্থা।
Total Reply(0)
ইলিয়াস ১৬ মে, ২০২০, ১১:১৩ পিএম says : 0
আমরা ৮০০বছর শাসন করেছিলাম তখন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা স্বাচ্ছন্দে তাদের সবকিছু করেছে আর এখন হিন্দুরা আমাদের সাথে এরূপ অন্যায় করছে। এর জবাব একদিন কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে।
Total Reply(0)
হাসান ১৬ মে, ২০২০, ১১:২৫ পিএম says : 0
শত বৎসরেও ফজরের নামাজ সম্পর্কে এমন অভিযোগ কেউ তোলেনি. বরং বিভিন্ন সময় কবি সাহিত্যকরা আযানের সূমধুর বাণীর ভূয়ষী প্রসংসা করেছে. আজ ইসলাম বিদ্বেষীদের এই প্রচেষ্টা কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয় কি. কারন যে কোন সৎ ব্যক্তি মাত্রই এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য যে আযানের ধ্বনি কোন সমস্যাই করে না. বরং তা শুনে অনকেই ভোরের স্নিগ্ধ বাতাস ও আলোয় সজীবতা ফিরে পায় এবং রুটি রোজগারে বের হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করে প্রফুল্ল মনে যা সাইন্টিফিক. তাহলে ইসলাম বিদ্বষী রায় সাইন্সের সত্য আবিষ্কারকেও মানে না. এরাই গোঁড়ামির ধারক বাহক.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন