শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

মেরাজে ফেরেশতার আজান এবং জমিনে শয়তানের ভীতি

প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কে এস সিদ্দিকী
(২৯ এপ্রিল প্রকাশিতের পর )
ইসলামে আজানের মর্যাদা-মাহাত্ম্য অপরিসীম। কেননা আজানের বাক্যগুলোর মধ্যে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও তাওহিদের কথাই ধ্বনিত হয়ে থাকে, যা সকল এবাদতের মূল কেন্দ্রবিন্দু এবং সমষ্টিগত ঐক্যেরও প্রতীক। মদিনায় হিজরতের পর ফরজ এবাদত হিসেবে নামাজ পড়ার বিধান প্রবর্তিত হয়ে গেলেও সমষ্টিগত অর্থাৎ জামাতসহকারে নামাজ পড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম-ব্যবস্থার কথা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আল্লাহর পক্ষ হতে অহির মাধ্যমে নির্দেশ না দেয়ায় তিনি নিজের পক্ষ হতে কোনো ব্যবস্থার কথা বলেননি। ফলে আজানের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ছিল না। লোকেরা আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে সময় ঠিক করে নামাজ পড়ত এবং নামাজের জন্য মসজিদে আগমন করত। এ নিয়ম রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পছন্দ ছিল না। উল্লেখ্য, তখন পর্যন্ত মদিনায় জামে মসজিদ নির্মিত হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) ভাবলেন নামাজের জন্য সকলকে কীভাবে সময়মতো সমবেত করা যায় তার ব্যবস্থা করা উচিত। এ ব্যাপারে তিনি সাহাবায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করলেন। কারণ একই সময় এবং একই স্থানে ঘোষণা ব্যতীত সকলকে একত্রিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য সাহাবায়ে কেরাম ঘোষণা বা প্রচারের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির কথা উপস্থাপন করেন।
এ সম্পর্কে সিরাত লেখকগণের বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে যা রাবীদের বর্ণনার বিভিন্নতার ভিত্তিতে রচিত। একটি বর্ণনা অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছু লোককে নিয়োজিত করেন যারা নামাজের সময় হলে ঘরে ঘরে গিয়ে লোকদের ডেকে আনবে। কিন্তু এতে অসুবিধা ছিল। হুজুর (সা.) সাহাবাগণের সাথে পরামর্শ করলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন। কেউ বলেন, নামাজের সময় মসজিদে একটি ঝা-া স্থাপন করতে, লোকেরা তা দেখে মসজিদে আগমন করবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) এ পদ্ধতি পছন্দ করলেন না। খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মধ্যে নামাজের ঘোষণার জন্য যেসব পদ্ধতি প্রচলিত সেগুলো তার খেদমতেও পেশ করা হয়। কেউ কেউ বলেন, আগুন জ্বালিয়ে তা উঁ”ু করে দেয়া হোক তা দেখে মুসলমানগণ সমবেত হতে থাকবে। যেহেতু আগুন প্রজ্বলিত করা অগ্নি উপাসকদের প্রথা তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) তা বাতিল করে দেন। নাকুম বা ঘণ্টা বাজানো খ্রিস্টানদের রীতি হওয়ায় তা অগ্রাহ্য হয়। বুক ইহুদিদের রীতি হওয়ায় তাও বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ উল্লিখিত প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই রাসূলুল্লাহ (সা.) গ্রহণ করেন না।
হজরত ফারুকে আজম (রা.) পরামর্শ দিলেন, নামাজের সময় হলে এক ব্যক্তিকে তা প্রচারের জন্য প্রেরণ করা হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রস্তাবটি পছন্দ করলেন এবং হজরত বেলাল (রা.)-কে বললেন যাও নামাজের জন্য আহ্বান কর। বেলাল (রা.) এভাবে আহ্বান করলেন: আছ-ছালাতু জামে আতুন।
এ সময় হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ আনসারী (রা.) স্বপ্নযোগে আরো একটি উত্তম পদ্ধতি দেখেন বলে একটি বর্ণনা রয়েছে। আর সেটাই হচ্ছে প্রচলিত শরীয় আজান। হজরত আবদুল্লাহ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খেদমতে তার স্বপ্ন দেখা আজান পেশ করেন। এর আগেই রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে অহির মাধ্যমে আজানের বাক্যগুলো জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই তিনি বললেন, তোমার স্বপ্ন সত্য এবং  তিনি আব্দুল্লাহ (রা.)-কে বললেন, বেলাল (রা.)-কে আজানের কালেমাগুলো শিখিয়ে দাও, বেলালই আজান দেবে। কেননা তোমাদের সকলের থেকে তার কণ্ঠ মধুর এবং তাই করা হলো। কোনো কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে, আজানের প্রচলিত কলেমা অর্থাৎ বাক্যগুলো হজরত উমর (রা.)ও স্বপ্নে দেখেন। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, মেরাজ রজনীতে ফেরেশতা হুজুর (সা.)-কে আসমানে আজানের বাক্যগুলো শিখিয়েছিলেন এবং আল্লাহ এই প্রথমবার দুনিয়াতে অহির মাধ্যমে তাঁকে আজানের বাক্যগুলো দান করেন। আজানের শব্দ শুনে শয়তানের পলায়নের কথা যেসব হাদিসে বর্ণিত হয়েছে তা আজান প্রবর্তিত হওয়ার পরের ঘটনা।
আজানের ফজিলত, মাহাত্ম্য ও তাৎপর্যের কথা বিভিন্ন হাদিসে রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইসলামে এ আজানকে অত্যন্ত মর্যাদার আসন প্রদান করেছেন। কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনকে দূর থেকে দীর্ঘ গর্দানবিশিষ্ট দেখা যাবে। এরূপ মর্যাদার অধিকারী মুয়াজ্জিন হত্যাকারী কঠোর শাস্তি ভোগ করবে।
কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের গর্দান লম্বা হওয়ার অর্থ তার মর্তবা-মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়া। উপরোক্ত মর্মের হাদিসটি মুসলিম শরিফে হযরত মোয়াবিয়া (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। মুয়াজ্জিন এবং আজান-একামতের ফজিলত মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করে আমরা মূল বক্তব্যে ফিরে আসব :
১। হযরত আবু সাঈদ খোদরী (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুয়াজ্জিনের আজানের শব্দ যতদূর পর্যন্ত পৌঁছে এবং যে তা শুনতে পায় কেয়ামতের দিন সে মুয়াজ্জিনের জন্য সাক্ষ্য দেবে। যে ব্যক্তি জঙ্গলে (চারণভূমিতে) বকরি চরায় এবং আজানের সময় হলে উচ্চ কণ্ঠে আজান বলে তার শব্দ যত দূর পর্যন্ত ধ্বনিত হবে কেয়ামতের দিন ওই সমস্ত বস্তু তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। (বোখারি)। শয়তান আজানের শব্দ শুনে আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পলায়ন করে এজন্য যে, কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের পক্ষে তার সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে,। তাই আজানই শুনবে না। তার শয়তানি বন্ধ করে আজানের শব্দ প্রবিষ্ট হোক এটা সে চাইতে পারে না। এ ধূর্তামি প্রদর্শন করতে গিয়ে শয়তান অপমানজনকভাবে আজানের সময় পালাতে থাকে বলে সে নিজেই স্বীকার করেছে। শয়তানের দোসর-অনুসারী মানুষ তার খপ্পরে পড়ে আজানের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শন করবে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
২. হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কোনো মুয়াজ্জিনকে আল্লাহ আকবার, আল্লাহ আকবার বলতে শুনে বললেন, এ ব্যক্তি দীনে ফিতরত বা স্বভাব ধর্মে রয়েছে। লোকটি যখন ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলল তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এ ব্যক্তি জাহান্নাম হতে মুক্তিলাভ করল। লোকেরা ওই ব্যক্তির খোঁজ করল এবং আজানের শব্দ অনুসরণ করে চলতে লাগল। তখন দেখল যে, একজন মেষচালক সে নামাজের জন্য আজান দিচ্ছিল। (ইবনে খোজায়মা)
৩. হযরত জাবের (রা.) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শয়তান যখন আজানের শব্দ শুনে বিচলিত হয়ে পলায়ন করতে থাকে এবং রাওহা নামক স্থানে গিয়ে থামে (মুসলি)। মদিনা হতে তিরিশ মাইল দূরে অবস্থিত এ স্থান পর্যন্ত পৌঁছার পর শয়তান থেমে যায়। এর অর্থ যেখানে যেখানে আজান হয় সেখান হতে শয়তান বহু দূরে পালিয়ে যায়।
৪. আমিরুল মোমেনীন হযরত উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের জবাবে তারই বাক্যগুলোর পুনরাবৃত্তি করে অর্থাৎ আজানের বাক্যগুলো উচ্চারণ করে তবে হাইয়্যা আলাছ ছালাত এবং হাইয়্যা আলাল ফালাহ-এর জবাবে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ বলে তাহলে সে জান্নাতে যাবে। (মুসলিম)।
৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বারো কদম পর্যন্ত আল্লাহর আজান দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজেব হয়ে যায়। প্রত্যেক দিনের আজানে ৬০টি নেকি এবং প্রত্যেক দিনের একামতে ৩০টি করে নেকি মেলে। (হাকেম)।
৬. হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, আজান ও একামতের মাঝখানে যে দোয়া করা হয় তা রদ করা হয় না। অর্থাৎ কবুল হয়। (তিরমিজি)।
৭. হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.)-এর অপর এক বর্ণনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে বস্তি জনপদে আজান হয় সে জনপদ ওই দিন আল্লাহতালার আজাব হতে নিরাপদে থাকে। (তিবরানী)
৮. হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, আজানের বাক্যগুলো যে ব্যক্তি পুনরাবৃত্তি করে যে জান্নাতে যাবে।  (নাসায়ী)।
আজান ও মুয়াজ্জিনের মর্যাদা সম্পর্কে উদাহরণস্বরূপ মাত্র কয়েকটি হাদিসের কথা উল্লেখ করা হলো। আজানের প্রতি সাহাবায়ে কেরাম যে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন তার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে বিশেষত প্রথম দুই খলিফার আমলে কোথাও অভিযান পরিচালনার সময়ে সেনাপতিদের প্রতি তাদের কড়া নির্দেশ থাকত যে, তাদেরকে যেখানে প্রেরণ করা হচ্ছে সেখানে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত প্রচার করবে, কোনো জনপদে আজানের শব্দ শোনা গেলে সেই জনপদে কোনো আক্রমণ চালানো যাবে না।
নামাজ ইসলামের অন্যতম রোকন হিসেবে জামাতবন্দি ফরজ এবাদত এবং তা আদায় করার জন্য তাহারত বা অজু যেমন জরুরি শর্ত, তেমনি জামাতসহকারে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে আজানের বিধান করা হয়েছে, যার কলেমাগুলো অহির মাধ্যমে প্রাপ্ত। রাসূল (সা.)-এর যুগে প্রবর্তিত আজান-একামত অবিকল অক্ষুণœ আছে। পাঞ্জেগানা নামাজ ও জুমার আজান নামাজের ন্যায় এবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে রাসূল (সা.) যুগের আজানের ক্ষেত্রগুলোতে কোনো প্রকারের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা রদবদল হয়নি, অহির বাণী হিসেবে সাহাবায়ে কেরাম আজানের প্রতি অত্যন্ত ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন এবং মুয়াজ্জিনগণের প্রতিও তারা খুবই সম্মান দেখাতেন মর্যাদা প্রদান করতেন। সীরাত গ্রন্থগুলো হতে জানা যায় যে, বিশেষভাবে সিদ্দিকী ও ফারুকী খেলাফত আমলে আজানের প্রতি খলিফাদ্বয়ের সম্মান প্রদর্শনের মাত্রা এতই অধিক ছিল যে, কোথাও অভিযান পরিচালনার সময় সেনাপতিদের প্রতি কড়া নির্দেশ থাকত যে, কোনো বস্তি বা জনপদে গমন করলে সেখানে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করবে। জনপদের কোথাও যদি আজানের শব্দ শোনা যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা যাবে না। কেননা আজান প্রদান বা নিদর্শন হচ্ছে জনপদের লোকদের মুসলমান হওয়া। এটি ইসলামের উদারনীতির একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এ নীতি বরখেলাপ করা হলে জবাবদিহিতা হতেও রক্ষার উপায় ছিল না।
সে যুগে বিদ্যমান যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে খেলাফতের রাজধানী মদিনায় জিহাদ যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় খবর পৌঁছতে স্বাভাবিকভাবেই বিলম্ব হতো। কোনো কোনো সময় বিজয়ের খবর-সুসংবাদ মুসলমানদের অবহিত করার জন্য খলিফা কাউকে আজানের নির্দেশ দিতেন এবং লোকদের সমাবেশে বিজয়ের সুসংবাদ জানাতেন। অনুরূপভাবে মুসলমানদের বীরত্ব ও নির্ভীকতা প্রকাশের জন্য এবং আল্লাহর মদদ লাভের উদ্দেশ্যে রণাঙ্গনে যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে আজান উচ্চারণের নির্দেশ থাকত খলিফার পক্ষ হতে। ভূমিকম্প, অগ্নিকা- এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আজান দেওয়ার প্রথা প্রচলিত।
বিশ্ব জগৎ আল্লাহদ্রোহী ও মানবশত্রু শয়তান হতে মুক্ত নয়। শয়তানের পদচারণা সার্বক্ষণিক সর্বত্রই বিদ্যমান। একমাত্র আসমানি আজানকে শয়তান ভয় করে বলে আজানের শব্দ শুনে সে কিছুক্ষণের জন্য পালিয়ে যায়। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ কেন আজানে বিচলিত ও ভীত হয়ে পড়ে এবং আজান সম্পর্কে কটূক্তি করে আজানকে বিদ্রƒপ করেÑ এসব প্রশ্ন নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লেও যেন আজান, মসজিদ, মিনার ইত্যাদি ইসলামী রীতি প্রথার অনুসরণ অমুসলিমদের জন্য চোখের কাঁটা ও গলার ফাঁস হয়ে দেখা দিয়েছে। নানা দেশে মসজিদ মিনার পোড়ানো, আজান বন্ধ করে দেয়াসহ ইসলামী অনুশাসন বিধিবিধান এবং রীতি-প্রথা বন্ধ করে দেয়া ও রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা জারি ইত্যাদি কিসের আলামত তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন (চলবে)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন