বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সউদীতে মসজিদের মাইকে আজান ছাড়া শব্দ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ১১:৪২ এএম

সউদী আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখের জারি করা এক সার্কুলারে দেশটির মসজিদগুলোতে আজান ছাড়া মাইকে অন্য কোনও শব্দ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি মাইকের আওয়াজ সীমিত করারও নির্দেশ দিয়েছে দেশটি।

গতকাল রোববার দুবাই-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সউদীর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখের জারি করা এক সার্কুলারে দেশটির সব মসজিদে মাইকের আওয়াজ এক-তৃতীয়াংশ রাখা এবং আজান ও ইকামাত ছাড়া ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নামাজের প্রথম আহ্বান আজান এবং দ্বিতীয় আহ্বানকে ইকামাত বলা হয়। ইকামাতের অর্থ ইমাম সাহেব জামায়াতে নামাজের জন্য কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন এবং নামাজ শুরু হতে চলেছে।
গালফ নিউজের খবর অনুসারে, সউদীর ওই সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে মহানবি (স)-এর একটি হাদীসের ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের সবাই সৃষ্টিকর্তাকে নীরবে ডাকছ। কেউ কাউকে বিরক্ত করা উচিত নয় এবং (সূরা) পাঠ বা নামাজে একজনের কণ্ঠের ওপর কণ্ঠ তোলা উচিত নয়।’
খবরে বলা হয়েছে, সউদী আরবে মসজিদের মাইক শুধু আজান ও ইকামাতের জন্য ব্যবহারের এই নিয়ম জারির ক্ষেত্রে শেখ মোহাম্মদ বিন সালেহ আল ওথাইমীন এবং সালেহ আল ফাজওয়ানের মতো জ্যেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদদেরও পরামর্শ নেয়া হয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
মো:+শফিউর+রহমান ২৪ মে, ২০২১, ২:১৪ পিএম says : 0
আমাদের দেশের আলেমদের কাছে এর যুক্তিটি কতটুকু যুক্তি যুক্ত তাহা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ থাকলো । কারন আমরা দোদুল্লমান অবস্থায় আছি । পুর বিষয়টা খোলা থুলি জান্তে পারলে আমরা উপকৃত হবো।
Total Reply(0)
মো রিয়াদুল হাসান রিয়াদ ২৪ মে, ২০২১, ৩:৩১ পিএম says : 0
চমৎকার সিদ্ধান্ত । মন থেকে সমর্থন করছি ।
Total Reply(0)
Md. Ismail Hosen ২৪ মে, ২০২১, ৩:৩২ পিএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ!! ভালো লাগছে।
Total Reply(0)
নাজিয়া ২৪ মে, ২০২১, ৩:৩৪ পিএম says : 0
সৌদি আরব মূলত শব্দ দূষনের অজূহাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত ধর্মকে পূঁজি করে একটা শ্রেনি ইতিমধ্যে গড়েছে যাদের কোন কাজ কাম নেই। চব্বিশ ঘন্টা ধর্মকে নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করা এদের কাজ। সৌদি সরকার এদের পিছনে বছরে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। এদের থেকে উৎপাদন মূলক কোন চিন্তাভাবনা নেই। আর গুলো নাই বললাম।আমি বা আপনি যদি কাউকে পছন্দ না করি তাহলে বলি ভাই আপনার কোন আওয়াজই শুনতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।
Total Reply(1)
প্রবাসী-একজন ২৪ মে, ২০২১, ৮:২৬ পিএম says : 0
"মূলত ধর্মকে পূঁজি করে একটা শ্রেনি ইতিমধ্যে গড়েছে যাদের কোন কাজ কাম নেই। চব্বিশ ঘন্টা ধর্মকে নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করা এদের কাজ। সৌদি সরকার এদের পিছনে বছরে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। এদের থেকে উৎপাদন মূলক কোন চিন্তাভাবনা নেই।" - এই মন্তব্যকারীকে অনুগ্রহ করে এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের সামাজিক পরিচয়টি জানাতে অনুরোধ করছি। এঁরা কি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলেন? এঁরা কি আলেম, শেখ কিংবা দা'য়ী হিসেবে পরিচিত? আরেকটি ছোট্ট প্রশ্ন, সমাজে যারা ডীস্কো-ডান্সার, পপ-সিঙ্গার, এন্টাইসিং মুভি-আর্টিস্ট বলে পরিচিতি, তারা কী ধরণের উৎপাদনের সাথে জড়িত?

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন