ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের গতকাল থেকেই ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটির মানুষও না খেয়ে থাকবে না। একটির মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সকলে সক্রিয় থাকবেন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য। একই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ করে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে গতকাল সকাল থেকেই। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কৃষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজও চলছে। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সচিব আরও জানান, লকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ গত বুধবার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন