রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সরকারের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাই রোহিঙ্গাদের মাঝে সংক্রমন রোধে ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অভ্যন্তরে একসাথ ১ হাজার ৯০০ রোগীর চিকিৎসার জন্য পৃথক ১১টি করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল স্থাপন ছাড়াও উখিয়ায় ১৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার ও বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে এগিয়ে আসে ইউএনএইচসিআর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়ায় উদ্বোধন করা হয় রোহিঙ্গা করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত এ হাসপাতাল।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর অর্থায়নে এই বৃহৎ আকারের আধুনিক করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস থেকে দেশের সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে সচেতনতাম‚লক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। উপজেলা ভিত্তিক আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক বলেন, এটি ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল হলেও এখানে এক সাথে ২০০ মানুষের সেবা দেয়া যাবে। এসময় তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে আরো সচেতন হওয়ার আহŸান জানান।
সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। উখিয়া কলেজের একটু দক্ষিণ পাশে প্রায় ৩ একর জমির ওপর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সামান্য ভেতরে এ হাসপাতালটির নির্মাণ করা হয়।
অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার অফিসের হেড অব অপারেশন ইনাকু টুকি, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, আরআরআরসি অফিসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, উখিয়ার ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান, ওসি মর্জিনা আকতার মর্জু, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রঞ্জন বড়ুয়া রাজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৩০ মার্চ আইসোলেশন হাসপাতালটির নির্মাণ শুরু হয় ও গতকাল ২১ মে উদ্বোধন করা হল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন