নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের খড়খড়িয়া নদীর সেতু সংযোগে। দু’দিনের বর্ষণে সেতুর উত্তর পাশের সড়ক দেবে গিয়ে ওই গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুতে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। নীলফামারী সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময় খড়খড়িয়া নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতুটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটির ওপর দিয়ে উত্তরের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন জনপদ থেকে ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে। ওইসব যানবাহন বিশেষ করে পাথর ও বালু বোঝাই ১০ চাকাবিশিষ্ট ট্রাক, ট্যাংকলড়ি, কাভার্ড ভ্যান, টেইলার সৈয়দপুর হয়ে ঢাকাসহ দেশের দূরবর্তী অন্যান্য গন্তব্যে চলাচল করে। সেতুটির সংযোগ অংশে ভয়বহ গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এখন তা হুমকিতে পড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বাড়বে এবং পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেতুটি। সেতু সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ইকু পেপার মিলস লিমিটেড নামের একটি কাগজকল। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিদ্দিকুল আলম জানান, সেতু মেরামতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। নয়তো দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এর ওপর অতিক্রম করা যানবাহন। সেতুটিও দেবে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ গর্তটিতে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছি, সেতু সংযোগ সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য। নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, গর্তটি ভরাট করে দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ওই পথে যানবাহন চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন