ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে অগ্নিকান্ডের শিকার হয় কুষ্টিয়ায় ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। ফলে বিপর্যয় নেমে আসে জেলার পুরো বিদ্যুৎ পরিষেবাতে। দুদিন টানা অন্ধকারে ডুবে থাকে জেলা, জেলা শহর। জীবন যাত্রায় নেমে আসে স্থবিরতা। সমস্য এখনও বিদ্যমান। এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি।
তবে ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে মাষ্টার ট্রান্সফরমার, জেলায় বিদ্যুৎ পরিসেবা শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।এদিকে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। তার প্রচেষ্টায় ঢাকা থেকে একটি মাস্টার ট্রান্সফরমার আনা হয়। ইতোমধ্যে মাস্টার ট্রান্সফরমারটি বটতৈল বিদ্যুত উপকেন্দ্রে পৌঁছেছে। কাজও শুরু হয়েছে।
জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর বটতৈলে আম্পান ঝড় চলাকালীন উপকেন্দ্রে হঠাৎ শব্দে আগুন লেগে যায়। কয়েকটি ট্রান্সফরমার অকেজো হয়ে যায় সাথে ব্যাপক অংশে ক্ষতিসাধিত হয় মাস্টার ট্রান্সফরমারের।
আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওজোপাডিকোর প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপকেন্দ্রে ওজোপাডিকো, পিজিসি, ওয়েষ্টার্নজোনসহ দেশের বিভিন্ন বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানীর বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সেখানে আসেন। কুষ্টিয়া ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব দেবনাথসহ চার সদদ্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
জানা যায়, ট্রান্সফরমার মেরামত ও কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে হবে। কিন্তু যন্ত্রাংশ ও প্রশিক্ষিত কর্মী ঢাকা থেকে আনতে হবে। পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে যন্ত্রাংশ ও শ্রমিক আনা হয়। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ৬০ জন শ্রমিক পুরোদমে কাজ শুরু করে।
কুষ্টিয়াসহ চারজেলার দায়িত্বে থাকা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীকালের (২৪ মে) মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন