ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা কুটি বাজারের পাইকারী মার্কেটে গত শুক্রবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৫টি দোকান পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও দোকান মালিকগণ জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মার্কেটের একটি দোকানে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। একে একে ৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের দ’ুটি, আখাউড়া ফায়ার স্টেশনের একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ইউনিট প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত জনতা অয়েল মেইলের মালিক বাবু মুন্সী বলেন, মার্কেটটির বেশীর ভাগ দোকানই পাইকারী দোকানদার। প্রতিটি দোকানে প্রচুর পরিমাণে মালামাল ছিল। তার মেইলের একটি মেশিনের মূল্য দু’লক্ষাধিক টাকা। আগুনে ৭/৮টি মেশিন পুড়ে গেছে। দোকানে প্রচুর মালামাল মজুত ছিল। আগুনে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ ও আদা’র পাইকারী ব্যবসায়ী মুছা মিয়া বলেন, আগুনে তার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার দাবি, আগুনে পুড়ে মার্কেটের ৩৫টি দোকানের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ইউনিট লিডার আবদুল্লাহ খালিদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে তিনটা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট, বিড়ি সিগারেটের আগুন অথবা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রকৃত কারণ খুঁজতে তদন্ত করা হচ্ছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। দোকানগুলো পুড়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি), কসবা-কে আহ্বায়ক এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
শেখ মো. কামাল উদ্দিন, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা, তাং- ২৬/০২/২০২২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন