কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব শত্রæতার জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শতাধিক নারী ও পুরুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মঙলবাড়িয়া-হোসেন্দী সড়কে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে তারা সন্ত্রাসীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ১১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮জনকে আসামি করে ওই গ্রামের ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুমারপুর গ্রামের রঙ্গু মিয়ার পরিবারের সাথে একই গ্রামের বাবুল মিয়ার পরিবারের নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রঙ্গু মিয়ার নির্দেশে তার দুই ছেলে আসিফ ও আশিকের নেতৃত্বে ১৫-১৬জন সন্ত্রাসী রামদা, ছুরা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হঠাৎ বাবুল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নির্বিচারে ওই বাড়ির গোলাম হোসেন ও বাবুল মিয়ার দুটি ঘরসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় গোলাম হোসেন ও বাবুল মিয়ার ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা ছাড়াও নগদ ৯০হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এসব কর্মকাÐের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূ দিনা খাতুন ও কণিকাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
বাবুল মিয়া বলেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা সমাজে এমন কোন খারাপ কাজ নেই যে জড়িত নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকার সাধারণ মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন