ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি খাদ্যগুদামের ভেতর থেকে অতিরিক্ত মজুদ চাল জব্দ করা হয়েছে। মজুদকৃত চাল সরকারের আভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের নামে সরবরাহের চেষ্টা করছিল চাল ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জেনে ফেলায় এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন আঠারবাড়ি খাদ্যগুদামে আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করে ৭৯বস্তা অবৈধ চালের মজুদ দেখতে পেয়ে তা জব্দ করেন ও খাদ্যগুদামটি সিলগালা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শুরু করেছে।
জানা যায়, ঈদের আগের দিন (রোববার) সন্ধ্যার দিকে জনৈক আবদুল মতিন ওরফে মতি নামে এক ব্যক্তি একটি পাওয়ার ট্রলিতে করে চালের বস্তুাগুলো খাদ্যগুদামে পৌছান। পরে খাদ্য কর্মকর্তা মো. আশরাফ আলীর নির্দেশে গুদামের শ্রমিকরা চালগুলো গুদামের ভেতরে নিয়ে স্তুপ করে রাখে। ১০টাকা কেজি দরে পার্শবর্তী নান্দাইল উপজেলায় বিতরণের চাল সিন্ডিকেট চক্র ক্রয় করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলীর সহযোগীতায় গুদামে চালগুলো প্রবেশ করানো হয়। এসব চাল অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ আওতায় সংগ্রহ দেখিয়ে বিল করা হতো তালিকাভুক্ত মিলার ফরিদা রাইস মিলের নামে। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট খাদ্যকর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খাদ্যবিভাগের মহাপরিচালক মহোদয়ের বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এছাড়া সিন্ডিকেটে সাথে জড়িত আবদুল মতিন ওরফে মতি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করার জন্য খাদ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন।
পরের দিন বুধবার সকালে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ ও ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নেত্রকোণা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুরাইয়া বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শণ শেষে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, জেলা খাদ্য বিভাগের সহকারি রসায়নবিদ উত্তম কুমার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) আলাল উদ্দিন সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শুরু করেন। ওই সময় খাদ্যগুদামটিতে আরো কিছু অনিয়ম পাওয়ায় তিনটি ভবন সিলগালা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন