ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
আর ঢাকা ডিসি অফিস নয়। অল্প খরচ ও কম সময়ে ঘরে বসেই খতিয়ান নাম্বার দিয়েই পাওয়া যাচ্ছে জমিজমার এসএ- আরএস ও সিএস পর্চা। গত এক মাস পূর্ব থেকে এ সেবা পাওয়া যাচ্ছে ধামরাই পৌরসভা থেকে। পৌরসভার ই- সেবাকেন্দ্র থেকে প্রতি খতিয়ানের জন্য মাত্র ১৫০টাকা দিয়ে আবেদন করে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে এ পর্চা। বর্তমানে এ সেবা শুধু পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সারা ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এমনকি ঢাকার জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মানুষদের এখান থেকে সেবা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ইতো মধ্যে এখান থেকে আবেদন করে শতাধীক ব্যক্তিকে পর্চা দেয়া হয়েছে। পরে আবার আবেদন ও করেছে অর্ধশতাধীক। এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম কবীর মোল্লা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে ঘোষণা দিয়েছেন তার অংশ হিসেবেই ঢাকা জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ সেবা জনগণের দূর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। পৌরসভা সেবা সেন্টারের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্স পরিদর্শক মানিক মিয়া বলেন, বর্তমানে পৌরসভা ই-সেবা সেন্টার থেকে অল্প সময়ে যে কোন সেবা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আগে জমির পর্চা তুলতে সবাইকে জেলা সদরের রেকর্ড রুম (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত জমিসংক্রান্ত তথ্য ভা-ার) থেকে আবেদন করতে হতো। হাতে লেখা পর্চা তুলতে সময় লেগে যেত ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। অল্প দিনে পর্চা বের করে দেয়ার নামে ছিল দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও। তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। এসব ভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে জমির পর্চা সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সাধারণত তিনভাবে জমির খতিয়ান তোলা যায়। এগুলো হলো-জেলা ই-সেবাকেন্দ্র, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং জেলা ওয়েব পোর্টাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন