সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে

রাজাপুরে ব্রিজ ভেঙে ২ বছর খালে

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এনামুল হোসেন খান, রাজাপুর (ঝালকাঠি) থেকে

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা গ্রামের বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকার ব্রিজটি (আয়রন-ঢালাই) প্রায় দুই বছর আগে আকস্মিকভাবে ভেঙে গাভারামচন্দ্রপুর ও বিনয়কাঠি এ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে দুই ইউনিয়নের ৬ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা। সেতুর অভাবে কয়েক মিনিটের পথ দীর্ঘ কয়েক মাইল পথ ঘুরে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহনের অভাবে ওই এলাকার অসুস্থ রোগীদের সময়মত হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিতে না পারায় চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ব্রিজটি। একাধিক স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৮ সালে এলজিইডির আওতায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নের পূর্ব আশিয়ার গ্রামের খালের ওপরে এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে দুই গ্রামের সংযোগ হয়। নির্মাণের সময় নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রি ব্যবহার করা অবকাঠামোগতভাবে নড়বড়ে ছিল এ সেতুটি ব্রিজটি, অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া মাদক সেবীরা ব্রিজের খুঁটির এ্যাঙ্গেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় গত ২ বছর পূর্বে ব্রিজটি আকস্মিক ভেঙে খালে পড়ে যায়। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের আশিয়ার ও মুড়াশাতা এবং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কালিয়ারগোক ও বালিঘোনাসহ ৫/৬টি গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের অভাবে সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারছে না। সময়মত স্কুল ও কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্র্থীরা। যে কারণে সমস্যায় পরে অনেকেরই লেখাপড়া বিঘœ ঘটছে। মুড়াশাতা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক জানান, ব্রিজটা ভাল থাকলে অনেক কম সময়ে মোটর সাইকেলে করে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে পারতাম। কিন্তু এখনতো তা পারছি না। সময়ের কাজ সময়মত না করতে পারলে লাভ কি?। বালিঘোনা গ্রামের কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম জানান, ব্রিজের অভাবে মাত্র কয়েক মিনিটিরে পথ অনেক দূর ঘরে কয়েক কিঃমি পথ পায় হেঁটে প্রতিদিন কলেজে যেতে হচ্ছে। সময় মত কোন ক্লাস করতে পারছি না। আরমা দ্রুত এই ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানী জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে গাভারামচন্দ্রপুর ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খুবই দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। ওই দুই ইউনিয়নের মানুষ এ সমস্যা সমাধানে শিল্পমন্ত্রীর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উদ দৌলা বলেন, এখনও ব্রিজটি নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্টিমেট করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালে আশা করি পরবর্তী প্রকল্পে এ ব্রিজটি অন্তরভুক্ত করা যাবে এবং ব্রিজটি নির্মাণ হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন