পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শশুর শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করল জামাই। শশুর চাঁন মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চাঁন মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম শুক্রবার (৫ জুন) জামাতা জুলহাস গাজী (৩০) সহ তিনজনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভিকাখালী গ্রামের নাদের গাজীর ছেলে মো. জুলহাস গাজীর সাথে পাশের আন্দুয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে মাহফুজার সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু আট মাস পূর্বে স্ত্রী মাহফুজ স্বামীর সাথে অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসে। ঘটনার দিন রাতে জুলহাস স্ত্রী কে নিয়ে আসার জন্য শশুর বাড়ি যায়। স্ত্রী তার সাথে আসতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীসহ শশুর, শ্বাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে জামাতা জুলহাসের সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে শশুর, শ্বাশুড়িকে কুপাতে থাকে। এসময় বাড়ির আলমগীর হাওলাদার বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী টের পেয়ে জামাতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, জুলহাসকে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার সাথে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন