সেবার দরজা খোলা ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর দরজায় যেন তালা দেয়া হয়েছে অঘোষিতভাবে। নগরীর ৪টি হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন খোকা (৫৫)। তিনি সিলেট নগরীর কুমারপাড়ার এলাকার বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার সকালে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে চিকিৎসার অভাবেই তার মৃত্যু হয়।
খোকার ছেলে তিহাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার বাবার বুকে ব্যথা ও শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তখন প্রথমেই সোবাহানীঘাট এলাকার একটি হাসাপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কল করেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্স বাসায় আসার পর দেখা যায় এর সাথে যে অক্সিজেন সিস্টেম রয়েছে সেটি ভাঙা। তাই এই অবস্থায়তেই তার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে বার বার তাদেরকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেও তারা রোগীকে রেখে নিয়মকানুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এক পর্যায়ে জানান রোগী রাখবেন না, নর্থ ইস্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। পরে রোগীকে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট হাসপাতালে যাই। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ জানান, হাসপাতালে সিট নেই, সম্ভব নয় রোগীর চিকিৎসা দেয়া। নিরুপায় হয়ে তারা ফোন দেন পরিচিত এক চিকিৎসককে। তার পরামর্শে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সবকিছু বন্ধ। এরপর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যাওয়ার পর সিসিইতে নিয়ে একটি ইসিজি করেন তারা। এরপরই হাসপাতালের ইর্মাজেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তিহামের বাবাকে ।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা থাকার পরও শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সিলেটের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন