ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর মেরামতের আগেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ হয়েছে এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করলে ঠিকাদার বিল উঠিয়ে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উপজেলার পাহাড়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনের দরজা-জানালা, ঘরের চাল, সিলিং, ফ্লোর মেরামত ও রংয়ের কাজের জন্য এলজিইডি ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯২৮ টাকার টেন্ডার চলতি বছরে আহ্বান করে। এস আলম কন্সট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লেস দিয়ে ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে কাজটি সম্পাদন করার শর্তে কাজটি পায়। পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে মে মাসের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ মিলে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে কাজটির শেষ করার রফাদফা করে। জুনের প্রথম সপ্তাহে ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে নেয়। তবে কোন কাজ করার আগেই ২২ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ হয়েছে বলে এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার কাজের আগেই প্রত্যয়নপত্র দিয়ে বিল নিয়ে গেছে। পরে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে মাঝে কাজ করা ও টাকা ভাগ নিয়ে বিভেদ দেখা দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ডাঃ আব্দুস ছাত্তার বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাওয়ার্দী প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ও পরিচালনা পর্ষদ মিলে রংয়ের কাজ করার জন্য এক ব্যক্তিকে ৬ হাজার টাকায় রফাদফা করি। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রংয়ের কাজের নামে ২৫ হাজার টাকা নিতে চাইলে অন্যরা বাধা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়। সভাপতি ডাঃ আব্দুছ ছাত্তার বলেন, সবাই মিলে টাকা নিলেও প্রধান শিক্ষক নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী বলেন, অর্থ আত্মসাতের কথাটি ঠিক। তবে আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। ঠিকাদার সাজু মিয়া জানান, স্কুলের কাজ কিভাবে হবে তা সরকারের বিষয়। সাংবাদিকের দরকার কি? উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য বলেন, এ ব্যাপারে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আক্তার উন নেছা শিউলী বলেন, অভিযোগ পায়নি। তবে শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন