মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
বগুড়া-আক্কেলপুর ভায়া দুপচাঁচিয়া সড়কের বেহালদশা। সড়কটি বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে গর্তগুলোতে পানি জমে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা অবস্থিত। বগুড়া-আক্কেলপুর ভায়া দুপচাঁচিয়া চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বগুড়া থেকে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন আক্কেলপুর হয়ে জয়পুরহাট জেলা সদরসহ স্থলবন্দর হিলিতে যাতায়াত করে। এছাড়াও এই সড়কের পার্শ্বেই দুপচাঁচিয়া উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। খাদ্যগুদামে নিয়মিত ধান, চাল ও গম বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। ফলে রাস্তাটির গুরুত্ব আরো বেশি। এছাড়াও এই সড়কটি দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর, গুনাহার ও চামরুল ইউনিয়নের লোকজনের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথ। প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর যাবৎ সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারবিহীন এই সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচসহ কার্পেটিংয়ের পাথর ওঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সড়ক ও জলপথ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গর্তগুলোতে ইট দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়েছে। এরপরও ইটগুলো দেবে গিয়ে ও তার চারপার্শ্বে আবারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে গত সোমবার বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য জিয়ানগরের বাস মালিক বাবুল হোসেন বাবু, চামরুল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহান আলী “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, সড়কটি প্রায় ৫ বছর পূর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সম্প্রসারণসহ বড় আকারের সংস্কারের পদক্ষেপ নিলেও অজ্ঞাত কারণে মাঝ পথে তা থেমে যায়। সম্প্রতি সড়কটির কিছু সংস্কার করলেও অধিকাংশ সড়কটির এখনো বেহালদশা। খানাখন্দকে ভরা সড়কটি অদ্যাবধি সংস্কার না হওয়ায় তার অবস্থা বড় করুণ। এই বর্ষা মৌসুমে সড়কটির গর্তগুলোতে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলে যেমন বিঘœ ঘটছে তেমনি ঝুঁকিও বাড়ছে। একইসাথে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে গর্তগুলোতে বাস আটকে সড়কটিতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধের আশঙ্কাও রয়েছে। এতে করে দিন দিন জনগণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সড়কটির দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন