শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হুমকির মুখে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা

খোলপেটুয়ার ৮শ’ গজ এলাকা জুড়ে ভাঙন

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে

সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়ার নদীতে প্রায় ৮ শত গজ এলাকা জুড়ে আগ্রাসী ভাঙন। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসের স্থাপনা সমূহ। হুমকির মুখে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, নীলডুমুর ৩৪ বিজিবি কার্যালয়, শিক্ষা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধসহ জনবসতি। ওয়াপদা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা। সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া ও চুনার নদীর সঙ্গমস্থলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চ অফিস থেকে নীলডুমুর খেয়াঘাট পর্যান্ত প্রায় ৮ শত গজ এলাকা জুড়ে প্রবল স্রোত ও নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের বি এম ব্যারাকসহ ৩টি স্থাপন নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ওয়াপদার বাহিরে বর্তমান অফিস, রেস্টহাউজসহ আরও ৩টি স্থাপনা হুমকির মুখে। যে কোন সময়ে নদী-ভাঙনে বিলীন হয়ে যেতে পারে এগুলি। সরজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে স্টেশনের ডেপুটি রেঞ্জার হাসান কবীর ইনকিলাবকে জানান, ২ মাস পূর্বে বি এম ব্যারাকসহ বনবিভাগের তিনটি স্থাপনা নদী ভাঙনে চলে গেছে। ভাঙন আশঙ্কায় স্টাফরা রাতে ঘুমাতে পারে না। ৩ মাস পূর্ব থেকে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ্যের ৩/৪ হাজার জিও বালির বস্তা এ স্টেশনের চরে পড়ে আছে, অথচ কেন যে ভাঙনে দেয়া হচ্ছে না সেটা জানি না। এ ব্যাপারে শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও নিখিল রঞ্জনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওখানে ৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। টাকস্ফোর্স কমিটির অনুমোদন না থাকায় ঠিকাদার কাজ করছে না। উক্ত কাজের ঠিকাদার ঢাকা ওয়েল এটিসি-এর শাহাজাদা রাজীবের কাছে বিষয়টি জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে বনবিভাগের অফিস ছাড়াও বেশ কিছু দোকানপাট, ওয়াপদা-বেড়িবাঁধ, নীলডুমুর খেয়াঘাট, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৪ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান কার্যালয়, ফরেস্ট হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। নীলডুমুর ৩৪ বিজিবি এর টু-আইসি আহাদুল ইসলাম জানান, এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন সময় ওয়াপদা ভেঙে গেলে একাকার হয়ে যাবে। বিষয়টি ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারকে আমাদের পক্ষ থেকে বার বার জানানো হয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, ঠিকাদার টাকা আদায় করার জন্যে চাপ সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ রেখেছে। ওয়াপদার এসডিই বিশ্বজিৎ বৈদ্য ঠিকাদারের গাফিলতির কথা স্বীকার করে জানান, আমরা একাধিকবার কাজ করানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঠিকাদারকে জানিয়েছি। সম্প্রতি বনবিভাগের অর্থায়ন সাপেক্ষে ৩৮২.১০ মিটার কাজের ওয়ার্ক ওয়ার্ডার হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন