সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কমলার রঙে হাসতে পারে লালমাই পাহাড়

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল্, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : কুমিল্লার সদর, সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা জুড়ে লালমাই পাহাড়। কমলা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লার লালমাইয়ে রয়েছে শত শত একর পতিত জমি। আরও রয়েছে ছোট বড় কয়েক হাজার গাছ-পালা। যেখানে পরিকল্পিত বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। লালমাটিতে কমলা চাষকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে পারে কুমিল্লার অফুরান ব্লু-ইকোনমি। কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে লালমাইয়ে হতে পারে আগামী দিনের জনপ্রিয় ফল আমিষ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা। কমলার রঙে হাসতে পারে লালমাই পাহাড়। কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার এবং পঞ্চগড়ে কমলার চাষ হয়। একই ধরনের মাটি ও আবহাওয়া বিদ্যমান রয়েছে লালমাই পাহাড়ে। এখন প্রয়োজন শুধু উদ্যোগের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সূত্রমতে, লালমাই পাহাড়ে কমলা চাষ নিয়ে কয়েক বছর থেকে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট স্বাক্ষরিত পত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাঈদ আলী জানতে চান লালমাই পাহাড়ের সদর ও সদর দক্ষিণ এলাকায় কমলা চাষের বিষয়ে। এবিষয়ে একই বছরের ৯ আগস্ট স্বাক্ষরিত পত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো.হাসান আলী ঢাকা অফিসকে জানান, সদর, সদর দক্ষিণ ও বুড়িচংয়ে কমলা চাষ করা যেতে পারে। এরপরে দীর্ঘ সময় ধরে কমলা চাষ নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আর কোনো ভূমিকা নেয়নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উদ্যানতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ মো. নুরুল হক জানান, ক্ষার যুক্ত বেলে দোঁ-আশ মাটিতে কমলার চাষ ভালো হয়। এছাড়া বৃষ্টিপাত হলে পানি জমবে না এমন ভূমি কমলা চাষের উপযোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লালমাই’য়ে কমলা চাষ করতে পারলে ওই পাহাড় হতে পারে ভিটামিন ‘সি’ সম্ভাবনাময় নিরাপত্তার পাহাড়। সফল চাষে এনে দিতে পারে অর্থনৈতিক স্বনিভরতা। কমলা বিদেশে রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের উপায় হিসেবে কমলা চাষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া কমলা চাষের মাধ্যমে পাহাড়ের আশে-পাশের হাজারও নারী-পুরুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে কুমিল্লাার সম্ভবনা নিয়ে কথা হয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, ব্যাংকাদের সঙ্গে। সবাই আশার কথা বলেন। কিন্তু কীভাবে কাজ হবে সে রাস্তা কারও জানা নেই। ব্যংকাররা বলেন, সঠিক উদ্যোক্তা পাই না বলে আমরা ঋণ দেই না। অন্যদিকে উদ্যোক্তারা বলেন, সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা পেলেই কমলা চাষ করা সম্ভব। কৃষি বিভাগ জানায়, সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বেসরকারি উদ্যোক্তাও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেনি। এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে সবুজের সমারোহ দেখা পর্যটকদের দারুণ মোহিত করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন