শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সাতক্ষীরার পর্যটন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা

শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : তৈরি হচ্ছে সুন্দরবন দেখার সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। ফিসিং জোনে মাছ ধরতে পারবে পর্যটকরা। থাকবে সংগ্রহশালা, রেস্টুরেন্ট ও ইকো-হোটেল। আর এসবের সমন্বয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জে গড়ে তোলা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম সেন্টার। এই সেন্টারে আরো থাকবে সুন্দরবন দেখার জন্য পরিবেশবান্ধব সোলার বোট, থাকবে সুন্দরবনের সকল প্রকার গাছ। এছাড়া প্রকৃতি থেকে পাওয়া সামগ্রী দিয়ে তৈরি হবে কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য স্থাপনা। নির্মাণাধীন এই সেন্টারের কাজ শেষ হলে সাতক্ষীরার পর্যটন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে খোলপেটুয়া নদীর তীরে সুন্দরবন ঘেঁষা ২৫০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার। জেলা প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আকাশলীনায় গড়ে তেলা হচ্ছে সুন্দরবন দেখার জন্য সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। পর্যটকদের মাছ ধরার জন্য থাকবে ফিসিং জোন। থাকবে সংগ্রহশালা, রেস্টুরেন্ট ও ইকো-হোটেলও। এছাড়া সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ তৈরি হচ্ছে স্থানীয় একটি সংস্থার উদ্যোগে। এ ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থা জোয়ার ট্যুরিজমের মালিক ফারুক আহমেদ জানান, মুন্সীগঞ্জে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা বাস্তবায়নের পথে। সুুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসা সম্প্রসারণে নির্মিতব্য এই ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ট্যুরিজমে সাধিত হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও নাগরিক নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুন্সীগঞ্জে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। যা এখন বাস্তবায়নের পথে। আমরা মনে করি সারাদেশের মানুষ এই কেন্দ্র থেকে ভালভাবে সুন্দরবন দেখতে পারবে। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি ছিল মুন্সিগঞ্জে একটি ইকোট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্যামনগরে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেটি আজ বাস্তবায়নের পথে। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু বাংলাদেশের পর্যটকরা এখানে আসবে না বিদেশি পর্যটকরা এখানে এসে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক রুপ দেখতে পাবে। এখান থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম জানান, প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেন্টারটি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করা হতে পারে। যা আমাদের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন