সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কলাপাড়ায় সরকারি জমি দখল করে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতলীতে জেলা প্রশাসনের সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তোলা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল চারদিন ধরে স্থাপনা তোলার কাজ করে আসছে। ইতোমধ্যে স্থাপনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কাজ হয়ে গেছে। অব্যাহত রয়েছে দখল কাজ। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ জমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ছোট বালিয়াতলী মৌজার ১৪ নম্বর (সাবেক) খতিয়ানের ওই জমি বর্তমানে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মালিক। বর্তমান খতিয়ান নম্বর-৩৭৫। কিন্তু ওই জমিতে চারদিন ধরে স্থাপনা তোলার কাজ চলছে। যা দেখাশোনা করছেন মাছ ব্যবসায়ী সলেমান মৃধা। ২০১৪ সালে ওই জমিতে বালিয়াতলীর এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদার, তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহআলম মোল্লা, মজিবরসহ পাঁচ ব্যক্তি স্ট্রাকচার করেছে। তখন নোটিশ দিয়ে স্থানীয় তহশীল অফিস কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ওই স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়নি। পুনরায় চারদিন আগে থেকে আবার সলেমানের নেতৃত্বে দখল ও স্থাপনা তোলার কাজ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, কমিউনিটি সেন্টার গঠনের লক্ষ্যে এক একর জমি মরহুম আব্দুল হক চৌকিদার পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসককে ১৯৬৬ সালের ১২ জুলাই দলিলের (নম্বর-১১৮৯) মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। জমিতে নির্মিত কমিউনিটি সেন্টারটিতে দীর্ঘদিন মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল কর্মকা- পরিচালিত হয়ে আসছিল। কয়েক বছর আগে তুলাতলীতে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হলে পরিষদের কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তর করা হয়। এরই মধ্যে ইউনিয়নটি বিভক্ত করে বালিয়াতলী নামে একটি নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। বর্তমানে এ জমির অবস্থান বালিয়াতলী ইউনিয়নের অধীন ছোট-বালিয়াতলীতে। কমিউনিটি সেন্টারটি জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে প্রভাবশালী মহলটি কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা তোলার কাজ শুরু করে দেয়। বর্তমানে সেখানে স্থাপনা তোলার কাজ চলছে ফ্রি-স্টাইলে। অভিযুক্ত সলেমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। কলাপাড়ার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) দীপক কুমার রায় জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তহশিলদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী জানান, সরকারি জমির দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনওকে বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন