মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খলিলের প্লাজমা দিয়ে সিলেটে থেরাপি শুরু

ইনকিলাব সাংবাদিকের করোনা জয়

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা বিজয়ী দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান নিজের প্লাজমা আরেকজন আক্রান্ত রোগীকে প্রদান করেছেন। গত বুধবার সিলেটে করোনা চিকিৎসার একমাত্র ‘শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে’ তার প্লাজমা প্রয়োগ করা হয় ওই রোগীকে। এর মধ্যে দিয়ে হাসপাতালে প্রথমবারের মতো কোনো রোগীকে প্লাজমা প্রদান করা হলো। খলিলুর রহমান গত ২২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। পরে রাজধানীর মুগদা জেনালের হাসপাতালে ১৯ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। পরে আরো ১৪ দিন নিজ বাড়িতে আইসলোশনে ছিলেন। পরবর্তী গত ৭ জুন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে গিয়ে আবার নমুনা দেন। ১৬ জুন দ্বিতীয়বারের মত নেগেভিট রিপোর্ট আসে। পরে গত বুধবার প্লাজমা দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, নগরীর খরাদিপাড়ার এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার রক্তের গ্রুপ আর সাংবাদিক খলিলের রক্তের গ্রুপ একই। এজন্য সুস্থ হওয়া খলিল তাকে প্লাজমা প্রদান করেছেন। নগরীর আখালিয়াস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে খলিলের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। পরে সে প্লাজমা শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই রোগীর শরীরে দেয়া হয়েছে। সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জন্মেজয় দত্ত জানান, কোভিড আক্রান্ত থেকে সেরে ওঠা খলিলুর রহমানের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। ‹বি পজেটিভ› গ্রুপ রক্তের প্লাজমা দেয়া খলিল সিলেটের বাসিন্দা হলেও চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় থাকাকালে কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত হন। প্রায় চার সপ্তাহ আগে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। তার শরীর থেকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সহায়তায় সংগ্রহ করা হয় প্লাজমা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন ওই নারীর করোনা শনাক্ত হন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্লাজমা সংগ্রহের জন্য সরঞ্জাম প্রয়োজন। তবে প্লাজমা সংগ্রহের সরঞ্জাম নেই শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও জন্মেজয় দত্ত বলেন, আক্রান্ত নারীর পরিবার প্লাজমাদাতা জোগাড় করেছেন। আমরা প্রথমবারের মতো আক্রান্ত কারও শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করলাম। ওই নারীর শারীরিক অবস্থার এখন অনেকটা উন্নতি হয়েছে। প্লাজমাদাতার শরীর থেকে সংগ্রহ করা যায় দুই ব্যাগ প্লাজমা। খলিলুর রহমানের শরীর থেকে দুই ব্যাগ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক ব্যাগ আক্রান্ত নারীকে প্রয়োগ করার পর অন্যটি সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। জন্মেজয় দত্ত আরো বলেন, এখন থেকে প্লাজমাদাতা পাওয়া গেলে ও রোগীদের প্রয়োজন হলে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।

প্লাজমা প্রদান প্রসঙ্গে সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছি। এখন আমার প্লাজমা দিয়ে যদি অন্য আরেকজন সুস্থ হয়, সেটা আমার জন্য আনন্দের। আর মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে তো দাঁড়াতেই হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন