টিএম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি হু হু করে বাড়ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে যমুনার তীরবর্তী ২১টি গ্রাম আবারো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ হাজার মানুষ। চরে আটকা পড়েছে ২০০ পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢেকুরিয়া হাট-বাজার ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত ২১টি গ্রামের ২ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। বন্যায় যমুনার পূর্ব তীরের খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুরনগর, মাইড়বাড়ী ও শুভগাছা ইউনিয়নে বসতভিটায় আটকা পড়েছে সাড়ে ১০ হাজার পরিবারের মানুষ। যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি নদীর পানি বেড়ে চলছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে গত ৪৮ ঘণ্টায় চরগিরিশ, খাসরাজবাড়ী, নিশ্চিন্তপুর, মনসুরনগর ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের শতাধিক বাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে। গত ১০-১২ দিন আগে যমুনার পানি বেড়ে ওই এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কিন্তু গত তিনদিনে আবারো পানি বেড়ে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুই-তিন দিনে প্রায় ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে নদীর গতিবিধি অনুযায়ী বাঁধের প্রতি কড়া নজর রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন