বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

শুনেছি বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যের ভেতর নাকি প্রাণীর চর্বি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। উপাদান লিস্ট না থাকায় আমারা বুঝতে পারি না প্রাণীটি কি হালাল না হারাম। কী করব?

বুশরা
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৬:৫৬ পিএম

উত্তর : সাবান, জেলি, লিপস্টিকসহ বহু প্রসাধনীতেই অনেক সময় পশুর চর্বি ব্যবহৃত হয়। উৎপাদন উপকরণের তালিকা থাকলে দেখে সাবধান হওয়া যায়। তালিকা না থাকলে মানুষ সন্দেহে পড়ে। এক্ষেত্রে যারা জানেন, তাদের পরামর্শ নেয়া জরুরি। সুতরাং শূকর বা অন্য হারাম প্রাণীর চর্বি থাকার সম্ভাবনা আছে এমন দেশের প্রসাধনী বা চকলেট এড়িয়ে চলাই কর্তব্য। তালিকা থাকলে সেটা আলাদা কথা। যেসব মুসলিম দেশ হারাম ফ্রি, এলকোহল ফ্রি, পর্ক ফ্রি পণ্য তৈরি করে খুঁজে খুঁজে সেসব দেশের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। অবশ্য নিশ্চিত না হলে কেবল সন্দেহ থেকে কোনো বস্তুকে হারাম বলে দেয়া ঠিক নয়। শরিয়ত সবকিছুতেই সন্দেহ প্রবণতা নিরুৎসাহিত করে। তবে উচ্চ সতর্কতা সবসময়ই উত্তম।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মো আল আমিন ২৮ জুন, ২০২০, ১১:৫৮ এএম says : 0
যে ব্যক্তি সুদ,ঘুষ অথবা এজাতীয় কোনো হারাম লেনদেনের সাথে সম্পর্ক রাখে; তার ঘরের কোনো খাবার খাওয়া যাবে কীনা? এমনকি কেউ যদি সুদের টাকা দিয়ে বিদেশে যায় তারপর সে যা রুজি করে, সুদের টাকা দিয়ে বিদেশে যাওয়ার কারনে সেই রুজি কি হারাম হবে কীনা? আর যদি হারাম হয়ে থাকে তখন সেই ব্যক্তির ঘরের কোনো খাবার খাওয়া যাবে কীনা?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন