মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গামের ঘোষণায় প্রসাধনী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম

গামের ঘোষণায় আনা হয়েছে কোটি টাকার প্রসাধন সামগ্রী। আর জালিয়াতির মাধ্যমে চালানটি কাভার্ডভ্যানে বন্দর থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে জব্দ করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্যদিকে পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে খালি কন্টেইনার আমদানির ঘটনায় আরও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, এখলাস ট্রেডিং ১০ হাজার ৮২০ কেজি আঠাযুক্ত সিল ঘোষণা দিয়ে একটি চালান আমদানি করে। আমদানি পণ্য খালাসের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তানজিনা ইন্টারন্যাশনাল ১৮ ডিসেম্বর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য যাবতীয় শুল্কায়ন কাজ শেষে আনস্টাফিং কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষার পর সেগুলো খালাস করে। কিন্তু, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক যোগসাজশের মাধ্যমে আনস্টাফিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চালানটি বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যান।
বুধবার গোপন সংবাদ পেয়ে কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা বন্দর টোল প্লাজা থেকে পণ্য ভর্তি কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে। পরে তাতে কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষিত পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। উল্টো তাতে উচ্চ শুল্কের প্রসাধনী সামগ্রী পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. দারাশিকো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে লাকী ট্রেডিং নামে অপর একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঘোষিত পণ্য না এনে খালি কন্টেইনার আনার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করার ঘটনায় থানায় আরও একটি মামলা হয়। নগরীর বন্দর থানায় মানিলন্ডারিং আইন ও কাস্টম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুটি মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- ঢাকার গুলশানের এখলাস ট্রেডিং এবং চট্টগ্রাম নগরীর নুর আহমেদ সড়কের মেসার্স লাকী ট্রেডিং। আসামিরা হলেন- কাজী জাহিদুল ইসলাম (৩০), মো. আলমগীর সরকার (৪৩), মো. ইউসুফ চৌধুরী (৬৭), তাহেরা আক্তার মরিয়ম (৪০), মো. শহীদ উল্লাহ (৪৬), মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম (৪৬) ও মোহাম্মদ ওয়াহীদ উল্লাহ (৪৭)।
কাস্টম কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মিলন বলেন, বিগত ২০১৬ সালে লাকী ট্রেডিং ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৫ কেজি পাকা বীজ আমদানির জন্য ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৪৭ ডলারের একটি এলসি খোলে। এলসি অনুযায়ী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠায়। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর কায়িক পরীক্ষার সময় ৪৩টি কন্টেইনারে ঘোষণার মাত্র ১০ দশমিক ৭ শতাংশ পণ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মুদ্রা পাচার করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন