বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কলারোয়ার অভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা
বর্ষা মৌসুমের প্রারম্ভে কলারোয়ার রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কলারোয়া সদরের সাথে গ্রামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু খানাখন্দকে পাট পচানোর মতো পানি নেই। পানির অভাবে চাষিরা পাট কাটতে পারছে না। অথচ এই নগন্য বৃষ্টিপাতে কলারোয়ার রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে বড় বড় খানাখন্দক বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়ক, কলারোয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়ক ভায়া লাঙ্গলঝাড়া, কলারোয়া-সরসকাটি সড়ক, কলারোয়া-ধানদিয়া সড়ক, সোনাবাড়িয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়ক, সোনাবাড়িয়া-কেড়াগাছি ভায়া মাদ্রা সীমান্ত ফাঁড়ি সড়ক, গয়ড়াবাজার-সিংগাবাজার সড়ক, কলারোয়া-কুশোডাঙ্গা সড়ক, সরসকাটি-তালুন্দিয়া সড়ক রাতে তো দূরের কথা দিনের বেলা  চলতে পথচারী সাধারণ মানুষকে হোচট খেতে হচ্ছে। আর এই রাস্তায় যানবাহনে চলতে পেটের নাড়িভূড়ি ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই রাস্তায় চলার পরে বাড়ি ফিরে পেটের ভেতরে ব্যথা অনুভূত হয়। চলাচলরত যানবাহনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সড়কে দুঘটনা নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানান, রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক ঘাপলার কারণে এক বছর পেরিয়ে যেতেই রাস্তাগুলো ভেঙেচুরে যেতে শুরু করে। রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ঠিকাদারের নামে কথা বলে পিঠ বাঁচানো দুঃসাধ্য বলে এলাকাবাসী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হয়। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতর জানায়, গ্রামগঞ্জের এসব রাস্তায় লোড ক্যাপাসিটির চেয়ে বেশি ভারবাহী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাগুলো দ্রুত ভেঙেচুরে খানাখন্দকে পরিণত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কগুলো মাছের ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। মাছের ঘেরে কানায় কানায় পানি থাকায় এবং ঘেরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহৃত রাস্তার মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ছে। অথচ সরকারি রাস্তা ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহারে আইনে সাজা শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ না থাকা রাস্তা মাছ ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জমির মালিকদের রাস্তার পাশে এসে বসবাস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার হিড়িক পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে রাস্তার চেয়ে উঁচু করে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিটা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি রাস্তায় জমে থাকছে। ফলে রাস্তাগুলো দ্রুত গর্তে পরিণত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন