মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া)
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় কাঙ্খিত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা প্রতিটি জমিতে রোপা-আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। বর্ষার সাদা-কালো খ- খ- মেঘমালার লুকোচুরি খেলা আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টির মাঝে কৃষকরা মাঠে জমি তৈরি করছেন কেউবা জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত রয়েছেন। বগুড়ার তথা উত্তরাঞ্চলের শস্য ভা-ার হিসাবে পরিচিতি দুপচাঁচিয়া উপজেলা। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে প্রতি বছর দুপচাঁচিয়া উপজেলা তুলনামূলকভাবে শীর্ষ অবস্থানে থাকে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কামাল হোসেন “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, এ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে মোট ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় ৪শ’ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ১শ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। আশা করা যাচ্ছে, এবার এ উপজেলায় ৫৫ হাজার মে. টন রোপা-আমন ধান উৎপাদিত হবে। মৌসুমের শুরুতেই কাঙ্খিত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তাদের জমি রোপা-আমনের জন্য তৈরিসহ অনেকে চারা রোপণ শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠ প্রস্তুতির পাশাপাশি অনেকেই চারা রোপণ করছেন। উপজেলার জিয়াগনরের কৃষক সেকেন্দার আলী, রেজাউল করিম রেজু, তালোড়ার আলহাজ বেলাল হোসেন, আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ম-লপাড়ার সিরাজ ম-ল, পাইকপাড়ার ফেরদৌস বিশ্বাস, খোলাশের হেলাল হোসেনসহ এলাকার কয়েক কৃষক জানান, সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় এবার কোনোক্রমেই কৃষকরা এ সময় আর কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকের জমিতেই পানি জমে গেছে। তাইতো ৭ শত টাকা বিঘা চুক্তিতে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে জমি প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। সেই সাথে অনেকেই প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলাতে মোট আবাদযোগ্য জমি উৎপাদিত মোট ধানের ২৫ শতাংশ উপজেলাবাসী ব্যবহার করে এবং উৎপাদিত ৭৫ শতাংশ ধান-চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘাটতি পূরণের জন্য বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন