শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সেলাইয়ের কাজ করে ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর প্রায় ১৬ হাজার নারী দর্জির কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাই করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে অথবা স্বামীর সংসারে সচ্ছলতা আনতে চান তারা। তাই শক্ত হাতে ধরেছেন সেলাই মেশিনের হুইল। তৈরি করছেন প্রয়োজনীয় নানা পোশাক। ফলে দিন দিন বাড়ছে গ্রামীণ জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী দর্জির সংখ্যা। টানাপড়েনের সংসারে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমান্তরালভাবে করছেন আয়রোজগার। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট মহিলা টেইলার্স। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ২ থেকে ৪টি করে সেলাই মেশিন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় শুধু নারীরাই কাজ করেন। উপজেলার শিমুলদাইড় গ্রামের তফিজউদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (৬৫) সেলাইয়ের কাজ করেন ২৫ বছর ধরে। তা কোন জমি ছিল না। তিনি জানান, নিজে দর্জির কাজ করে মাসে আয় করেন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। পোশাকগুলো গ্রাহকরা বাড়ী থেকে নিয়ে যান। তিন মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। আয় থেকে একটু করে কিনছেন কিছু জমি। এর পাশাপাশি কিছু কৃষিজমি বন্ধক রেখেছেন। ওই বন্ধকী সম্পত্তিতে এবার ইরি-বোরো ধান আবাদ করবেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে সুখে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সিংড়াবাড়ী গ্রামের ডিগ্রী পড়ুয়া ছাত্রী আমিনা খাতুন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাই কাজ করে সে। তার বাড়তি আয় পরিবারে এনে দিয়েছে সচ্ছলতা। এছাড়া ছালেহা, দোলেয়ারা, হাসিনা, অলেদা, শোভা, শিল্পী ও রিনা সেলাই কাজ করে আজ স্বাবলম্বী। কাজিপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, মহিলা বিষয়ক ও যুব উন্নয়ন কার্যালয়ে থেকে ৩০ জনের একটি টিম করে নারীদের সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন