শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সোনাগাজীতে সব ক’টি সøুইসগেট অকেজো বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতায় বাড়ে জনদুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সোনাগাজী (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা

সোনাগাজী উপজেলায় ১৯৬৫ সালে নিয়মিত ১২টি সøুইসগেট অকেজোর কারণে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জানা যায়, ফেনী সদর থেকে ২০ কিমি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে সোনাগাজী উপজেলার অবস্থান। পূর্ব দিকে কালিদহ ও বড় ফেনী নদী, পশ্চিমে উপজেলার বুক চিরে ছোট ফেনী নদী প্রবাহিত। এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ১৯৬৫ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা ঘিরে উপকূলীয় অঞ্চলে ১২টি সøুইসগেট নির্মাণ করে। ২০০২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালী ও অবস্থাপনার কারণে ২০ গেট বিশিষ্ট কাজিরহাট সøুইসগেটটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কাজিরহাট সøুইসগেটটি বিলীন হওয়ার কারণে ৮ মার্চ ২০০৬ সালে কাজিরহাট সøুইসগেটের ২০ কিমি পিছনে ছোট ফেনী নদীর মোহনায় মুছাপুর নামক স্থানে ২৩ ভোল্টের একটি ক্লোজার ড্যাম নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। উক্ত ক্লোজার ড্যামটি ২ বছরের মধ্যে নির্মাণ করার কথা থাকলেও অনেক কাঠখড় পুরিয়ে ২০১৪ সালে মুছাপুর ক্লোজার ড্যামটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন ঠিকাদার। কিন্তু সোনাগাজী উপজেলা ঘিরে যে আরো ১২টি সøুইসগেট রয়েছে তা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার কারণে উপজেলার কৃষকেরা বর্ষা মৌসুমে আমন ধান উৎপাদন করতে পারে না। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে কৃষকের আমন বীজ তলা, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে চরাঞ্চলের মানুষের বাড়ি ঘেের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগবালাই দেখা দেয়। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির দেখা দেয় খাদ্য সঙ্কট। উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের ১০নং সøুইসগেট সংলগ্ন কৃষক আবুল কাসেম জানান, এ সøুইসগেট দিয়ে চরসাহাভিকারী গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের পানি বর্ষাকালে নিষ্কাসন হতো। গত ২০ বছর যাবৎ সøুইসগেটটি অকেজো থাকার কারণে কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আমরা আগে বছরে দুটি ফসল উৎপাদন করলেও এখন একটি ফসল উৎপাদন করতে পারি না। ৬নং চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত হয় ৭ নং সøুইসগেট। সরেজমিন জানা যায়, সøুইসগেটটি নির্মাণ করার পর কোন মেরামত বা সংস্কার না করার কারণে জোয়ারের লোনা পানি সøুইসগেট দিয়ে প্রবেশ করে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ৮নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত ১নং সøুইসগেটটিরও একই অবস্থা। জোয়ারের লোনা পানির প্রভাবে এলাকার দালান কোঠাসহ মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে। উপজেলার সব কটি সøুইসগেটের একই অবস্থা। দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কারের অভাবে অকেজো। এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আফছার হোসেন জানান, আগামী অর্থবছরে কয়েকটি সøুইসগেটের মেরামতের কাজ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন