শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মিয়ানমার থেকে আসছে গবাদি পশু

কোরবানি ঈদ

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আসতে শুরু করেছে। তবে এবার করোনাকালে পশুর ব্যবসা নিয়ে দুঃচিন্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গত চার দিনে শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৩৭৩টি গরু-মহিষ এসেছে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা মো. আবসার উদ্দিন বলেন, জুনে ৫ হাজার ২১৩টি গরুসহ গত চার দিনে ৩ হাজার ৩১২টি মহিষসহ ৮ হাজার ৫২৫টি গবাদি পশু এসেছে। এসবের বিপরীতে ৪২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আনার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, আবু ছৈয়দ, মোহাম্মদ সোহেল, শুক্কুর ও আলমগীরের কাছে ৬৮২টি গরু মহিষ এসেছে। এসব ট্রলার থেকে খালাসের পর করিডোরে খোলা জায়গায় রাখা হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, দেশে গোশতের চাহিদা পূরণ করতে ২০০৩ সালে ২৫মে তৎকালীন সরকার এই করিডোরটি চালু করেন। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র করিডোর। সারাবছর এ করিডোর দিয়ে গরু-মহিষ আসলেও এখন আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আসতে শুরু হয়েছে। এ করিডোর দিয়ে যেসব পশু আসছে তা দ্রুত হাত বদল বা কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে দিচ্ছেন।
শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের পশু ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবার করোনার কারণে ব্যবসা নিয়ে দুঃচিন্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এবার কোরবানিতে ২০/৩০ হাজারের বেশি পশু আসবে বলে আশা করছেন তারা। তবে আবহাওয়া অনূকলে থাকার পাশাপাশি সাগরও শান্ত থাকতে হবে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়া গবাদি পশু আসতে পারলে স্থানীয় লোকজন কম দামে গরু-মহিষ কিনতে পারবে।
পশু ব্যবসায়ীরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ফেলে এ করিডোর দিয়ে কোরবানির ঈদের আগের দিন পর্যন্ত গবাদি পশু আনা হবে। শুধুমাত্র ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম লাখ লাখ টাকা দাদন দেয়া হয়েছে। তবে কোরবানি আসতে এখনো ২৯ দিন বাকি রয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো ফয়সাল হাসান খান জানান, মিয়ানমার থেকে আসা গবাদি পশুগুলো গণনা করার পর বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। প্রতিটি গরু-মহিষের বিপরীতে ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায়ের পরে পশুগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। তবে গবাদি পশুর সঙ্গে যাতে মিয়ানমার থেকে কোনো ধরনের রোগাক্রান্ত পশু ও মাদকসহ অবৈধ কোনো কিছু আনা হলে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সর্তক রয়েছে বিজিবির সদস্যরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Mohiuddin Ahmed ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
সাবধান!! মিয়ানমার কিংবা ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ করুন!! কারণ তারা চক্রান্ত করে ভাইরাসজনিত গরু বাংলাদেশে পাঠাতে পারে।
Total Reply(0)
Kamal Pasha ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
টেস্ট ছাড়া যেনো না আসে কোন পশু ।
Total Reply(0)
Madinar Poth ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
গরু আনা বন্ধ করুন, আমাদের খামারিদের ক্ষতি হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
স্বপ্নের পৃথিবী ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫১ এএম says : 0
দেশি গরু বাক্রি হবে কি না এটা নিয়ে চিন্তিত খামারিরা , তার ওপর আবার মিয়ানমারের পশু,
Total Reply(0)
Nayeem Islam ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫১ এএম says : 0
দেশী খামারী,ব্যাবসায়ীরা অসাধু।সুযোগ পেলেই ৩০ হাজার টাকা দামের গরু ১ লক্ষ ২০ হাজার হাকিয়ে বসে থাকে।
Total Reply(0)
Md Shariful Islam Badon ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৫১ এএম says : 0
কেমনে হয় কেমন পারে কেমনে আনে সব মিলিয়ে কথা একটাই আমাদের লজ্জা নাই হাজার হলেও বাংগালী তো পারিও তেল মারা ছারা ওপাই নাই তাইলে গরু না দিয়ে গবর দিয়ে টাকা নিয়ে যাবে
Total Reply(0)
KAMAL ৫ জুলাই, ২০২০, ৫:২৩ এএম says : 0
প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশু আমদানি করা দরকার।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৫ জুলাই, ২০২০, ১১:২৫ এএম says : 0
বারমা, ভারত হইতে কোনো আমদানি নয়। না খেয়া, থাকা ভালো তবুও বারমা ভারত হইতে কিচুই আমদানি না। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৫ জুলাই, ২০২০, ১১:২৬ এএম says : 0
বারমা, ভারত হইতে কোনো আমদানি নয়। না খেয়ে, থাকা ভালো তবুও বারমা ভারত হইতে কিচুই আমদানি না। বারমা, ভারতের গরু দিয়ে কোরবানি দিলে কোরবানি আদায় হইবে না। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Arbor ali ৭ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
বাঙলাদেশ যদি ভারতীয় ও মায়ানমার থেকে গরু আসে তাহলে একদিকে ভাইরাস আর অন্য দিকে দেশীয় খামারী উভয় দিকে সমস্যা হবে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত প্রানি সম্পদ হিসাব অনুযায়ী এককুটি আঠারো লক্ষ্য গরু আছে আমাদের চাহিদা মাএ এককুটি নয় লক্ষ গরুর চাহিদা এখন পর্যন্ত দেশে নয় লক্ষ গরু অভার আছে তাই আমি বলব কিছু অসাধু ব্যাবসাইরা উপরের লেভেল হাতকরে মায়ানমার থেকে গরু আমদানি করিতেছে তাই সরকারের উচিত দেশের উন্নয়নের অগ্রগতির জন্য দেশের খামারীদের বাঁচান মানুষ বাঁচলে দেশ বাচনে ।এমনিতেই গরুর খাবারের আকাশ ছোঁয়া দাম।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন