শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ঝিনাইদহে মঙ্গা প্রকল্পের পুকুর খননে পুকুর চুরি

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
জেলা মৎস্য অফিসের অধীন ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি টাকায় পুকুর খনন কাজে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেনতেন ভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত টাকা প্রকল্প কমিটির সভাপতি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে প্রকল্প সভাপতিদের দাবি জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ১৫% টাকা ঘুষ দেয়ার কারণে তার সঠিকভাবে কাজ করতে পারিনি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে মঙ্গা প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে বিল বাঁওড় ও নদীর মধ্যে পুকুর খনন বাবদ ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী বেগবতী নদীর মধ্যে ২টি পুকুর খনন বাবদ ৬ লাখ টাকা, মহেশপুর সস্তার বাঁওড়ে পুকুর খনন বাবদ ১০ লাখ টাকা, শৈলকুপার কন্যাদহ বিলে পুকুর খনন বাবদ ৭ লাখ টাকা, শৈলকুপার কালীমরা নদীতে পুকুর খনন কাজে ৩ লাখ টাকা ও ঘোড়শাল ইউনিয়নের পিরোজপুর খালে পুকুর খনন বাবাদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। মঙ্গা কবলিত জেলা না হলেও রাজনৈতিক তদ্বীরে এই প্রকল্প পাস করিয়ে আনা হয় ঢাকা থেকে। সূত্র মতে এসব প্রকল্প পাস করিয়ে আনতেও টাকা খরচ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকল্প সভাপতি জানান, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত টাকা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত আমাদের কোন লাভ থাকে না। তাই পুকুর কাটার নামে যেটুকু করা দরকর তাই করা হয়েছে। সরেজমিন বেগবতি নদী ও সস্তার বাঁওড়ের পুকুর খনন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, যেনতেন ভাবে কাজ করে জুন মাসে সমূদয় বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে কেও পুকুর খনন করেনি। ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর মালিথা জানান, আমার ইউনিয়নে দুইটি পুকুর খননের কাজ আমার ভাতিজা করছে। তিনি কিছুটা অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনকে ১৫% টাকা দিতে হয়েছে। তা না হলে তিনি বিল দিচ্ছিলেন না। তিনি আরো জানান, সব পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঘাটে ঘাটে টাকা দেওয়ার কারণে পুকুরের মাটি কেটে গভীর করা যায়নি। বাড়েনি আয়তন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার মোবাইল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন