শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

বয়স্ক ও শিশুদের পশুর হাটে না যাওয়ার আহ্বান মেয়র আতিকুলের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ৯:৪৫ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের পশুর হাটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ রোববার কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় মেয়র এ আহ্বান জানান।

এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে জনসাধারণের স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা ছাড়া পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুরূহ। শিশু ও বয়স্করা যারা বিগত বছরে পছন্দের পশুটি কিনতে বিভিন্ন হাটে গরু দেখতে যেতেন, আমি অনুরোধ করব এ বছর আপনারা এভাবে গরুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আমরা এ বছর ঢাকা শহরের ভেতরের বড় বড় কয়েকটি হাট শহরের প্রান্তসীমায় নিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আসলে এর ফলে আমাদের সিটি করপোরেশনের স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি টাকা আমরা লস করলাম। কিন্তু তারপরও জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ডিএনসিসির মেয়র আরও বলেন, হাটের ইজারাদারদের অবশ্যই আমাদের নির্দেশনা মতো নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে তাদের যে সিকিউরিটি মানি থাকবে সেটি কিন্তু বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।

সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা এবারও আশা করছি কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার আগেই অপসারণ করতে সক্ষম হবো। এটি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাসহ আমি নিজেও মাঠে থাকব।

সভায় ডিএনসিসির কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, ডিনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
mumtazul karim ৭ জুলাই, ২০২০, ৯:০১ পিএম says : 0
কোরবাণির হাট আগের জায়গাতেই কিন্তু সীমিত লোক সমাগমের ব্যবস্থা সহ আয়োজন করা ভালো হবে- বয়ষ্করা কাছে যেতে না পারলেও যাতে অন্য কারো মাধ্যমে গরু দেখা ও দরদাম করতে পারেন। যদিও আগে চালু ছিলনা তবুও ওজন মাপে গরু বিক্রয়ের সুব্যবস্থা করলে ঠকে যাওয়ার চিন্তা থেকে বাঁচা যায়। আশা করি কর্তৃপক্ষ এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবেন। ট্রাক যেভাবে ওজন হয় সেভাবে বাজারের ভীড় এড়িয়ে এক জায়গায় ওজনের মেশীন বসালে যে কেউ তার পছন্দ মত গরুকে মেশীনে উঠিয়ে দাম নির্ধারণ করে নিতে পারবে। এতে করে বেশী সময় ধরে বাজারে ঘোরাফেরা করতে হবেনা এবং সবাই একটা স্ট্যান্ডার্ড দামে গরু কিনতে পারবে। সারা বছর বাজারে গরুর গো্সত যদি কেজি মাপে বিক্রয় হতে পারে তবে কোরবাণীর সময় পারবেনা কেন? তবে কোন বিক্রেতা যেন গরুকে অতিরিক্ত পানি খাইয়ে ওজন বাড়ানোর কারসাজি করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করতে হবে । একবার এই পদ্ধতি চালু হলে দিনে দিনে সেটা জনপ্রিয় হবে। কিছু কিছু অন লাইন বিক্রেতা ওজন অনুসারে গরু বেচার প্রস্তাব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন