ভারত থেকে গরু ঢোকা বন্ধ হওয়ায় খামারি ও কৃষকরা বেজায় খুশী। তারা বলছেন খুব বেশি লাভ হোক বা না হোক লোকসান হবে না। ভারতে গরু ঢুকলে পশহাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
সীমান্ত সূত্র জানায়, এবার ভারতের গরু ব্যবসায়িরা সুবিধা করতে পারেনি। তবে চামড়া ব্যবসায়িরা বাংলাদেশ থেকে চামড়া সংগ্রহের ফন্দিফিকির আঁটছে। তারা এপারের ব্যবসায়িদের চামড়া দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করছে নানাভাবে। বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে ভারত থেকে এবার কোরবানি উপলক্ষে গরু ঢোকাতে পারেনি ভারতে গরু ব্যবসায়িরা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোরবানীর পশু হাটগুলো শেষমুহূর্তে অতিমাত্রায় জমজমাট। বেড়েছে গরু ও ছাগল বেচাকেনা। কোন হাটেই ভারতীয় গরু চোখে পড়েনি। দেশী গরুর ব্যাপক চাহিদা। উঠেছেও পর্যাপ্ত। প্রতিটা হাটে গরু আর গরু। এবার গতবারের চেয়ে গরুর দাম খুব কম। যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি পশুহাটের চিত্র ভারতীয় গরুর স্থান নেই। দেশী গরু চাহিদা মিটাচ্ছে।
যশোর নতুন খয়েরতলার শাহেদ রহমান রমি, পুরাতনকসবা মানিকতলার ওয়ালিউল হাসনাত রকি ও সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইসলামপুরের আবুল কালাম আজাদ ম্যানের সঙ্গে কথা হলো পশু হাটে। তাদের কথা, হাট ঘুরে দাম যাচাই বাছাই করছি। গ্রামে কৃষকের লালন পালন করা গরু কেনার দিকেই ঝোক বেশী। বিভিন্ন কোরবানীর পশু হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটে প্রচুর গরু ও ছাগল উঠছে। বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। কোরবানির আগের দুই তিন দিন বেশি বেচাকেনার হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তুলনামূলকভাবে এবার ছাগলের দাম চড়া।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চামড়ার বড় হাট যশোরের রাজারহাটে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন থেকেই চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহের প্রস্ততি নিচ্ছেন। চামড়া ক্রয়ের জন্য অর্থ যোগাড় করছেন।
সীমান্ত সুত্র আরো জানায়, সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের সাতক্ষীরা, কলারোয়া, যশোরের বেনাপোল, চৌগাছা, ঝিনাইদহের সামান্তা, যাদবপুর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দর্শনা, মেহেরপুরের গাংনী ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন সীমান্তের কোরবানির পশুহাটে বিক্রেতারা কঠিনভাবে দেশী গরু ক্রয় করে ব্যবসা করছেন। তাতে রিস্কও কম, লাভও তুলনামূলক বেশী। গরু ব্যবসায়ী আজগর আলী ঝিকরগাছা পশুহাটে কথাপ্রসঙ্গে জানালেন, কেন যে একশ্রেণীর গরু ব্যবসায়ি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত থেকে গরু আনার চেষ্টা করে তা বুঝি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন