কোরবানী ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভীড় বাড়ছে পশুরহাট গুলোয়। গ্রামীন জনপদেও আনাগোনা বেড়েছে ব্যাপারী, দালাল আর শহুরে ক্রেতাদের।
এবার রাজশাহী অঞ্চলে পচিশটি স্থায়ী অস্থায়ী কোরবানীর পশুরহাট বসার কথা জানাগেছে। করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে পশুহাটে যাতায়াতের জন্য প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে। বেশকিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যেমন দুরত্ব বজায় রাখা, প্রবেশ ও বাইরে যাবার দুটি পথ রাখা। সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাস্তবে বেশকটি হাট পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে এসব নিয়মনীতির বেশীরভাগ মানা হচ্ছেনা। হাটে বেশ ভীড়। কেনার চেয়ে এহাট ওহাট ঘুরে যাচাই করা হচ্ছে। একেবারে শেষ সপ্তাহে কেনাকাটা করবে। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন এখন পর্যন্ত তাদের বেচাকেনা তেমন জমে উঠেনি। কারো প্রত্যাশা শেষ মুহুর্তে ভাল বেচাকেনা হবে। আবার কারো হতাশা করোনার কারনে মানুষের হাতের অবস্থা খারাপ। ক’মাস ধরে ব্যবসা বানিজ্য নেই। অনেকের কাজকর্ম নেই। বিক্রেতাদের নজর সরকারী কর্মকর্তা, বড় বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, ঠিকাদারদের দিকে।
আবার আগে যারা একাই একটা গরু কোরবানী করতেন তাদের অনেকেই এবার ভাগে যাচ্ছেন। তিনজন সাতজনেও ভাগ হচ্ছে। এ এলাকার সবচেয়ে বড় পশুরহাট রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সিটিহাট। সেখানে মানুষের আনগোনা বেশী। সবকটি হাটের অবস্থা খারাপ করেছে বৃষ্টি। প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি নামছে। হাট হয়েছে কর্দমাক্ত। মানুষ আর গরু মহিষের খোচা খুচিতে যাচ্ছেতাই অবস্থা। ক্রেতা বিক্রেতাদের নাকাল অবস্থা।
গরুর খামারীরা এখন পর্যন্ত হতাশ। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে তারা লালন পালন করে বড় করেছেন গরু। অতীতের মত ক্রেতা আর ব্যপারীরা না আসায় তাদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। প্রতিবছর মাসখানেক আগে থেকেই ব্যাপারীরা গরু কেনায় তৎপর হন। এবার তেমনটি নেই।
রাজশাহী জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমান গরু ছাগল ভেড়া রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় চারলাখ। কোরবানীর জন্য এখানে প্রয়োজন আড়াই লাখ গরু, ছাগল। তাতে করে লাখ খানেক পশু উদ্বৃত থাকবে। এবার যাতে ভারত থেকে গরু মহিষ না আসে সেজন্য বিজিবি বাড়তি নজরদারীর ব্যবস্থা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন