ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে পড়া ২ কিশোরী। বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীরা হলেন উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের হযরত পুর গ্রামের মমতাজ আলীর মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার ও শিবনগর ইউনিয়নের হাজির মোড় এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অনিকা পারভীন। ফুলবাড়ী থানার ওসি জানায়, গত শুক্রবার সকাল থেকে কাজিহাল ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের শারমিন আক্তার ও শিবনগর ইউনিয়নের হাজির মোড় এলাকার অনিকা পারভীনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজার নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিবনগর ইউনিয়নের হাজির মোড় এলাকায় গিয়ে শহিদুল ইসলামের মেয়ে অনিকার বিয়ের আয়োজন ভেঙ্গে দেয়। এ সময় অনিকার বিয়ে না দেয়ার জন্য তার পিতা শহিদুল ইসলামের নিকট মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর একইদিন বেলা ১২টায় এলাকায়বাসীর দেয়া তথ্যসূত্রে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের মমতাজ এর বাড়ীতে গিয়ে তার মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ের আয়োজন ভেঙ্গে দেয়া হয়। এ সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারমান মানিক রতনের উপস্থিতিতে শারমিন আক্তারের পিতা মমতাজ এর নিকট মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এভাবে দুটি কিশোরীই বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, গত শুক্রবার একাধিক স্থানে বাল্যবিয়ে হওয়ার খবর পেয়ে দুটি স্থানে অভিযান চালানো হয় এবং বাকি স্থানে পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ের আয়োজন ভেঙে দেয়া হয়েছে। ফলে অনিকা ও শারমিন ছাড়াও আরো অনেকেই বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন